হোয়াইক্যংয়ের জাহেদ মেম্বার পরিবারের উপর ওসি প্রদীপের ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহার দাবী

: নুরুল করিম রাসেল
প্রকাশ: ৩ years ago

সাদ্দাম হোসাইন : টেকনাফ মডেল থানার তৎকালীন মূর্তিমান আতংক সাবেক ওসি প্রদীপের রোষানলে পড়ে মিথ্যা মামলায় এক মেম্বার দম্পতির সাজানো সংসার তছনছ হয়ে গেছে। পরিবারটি মিথ্যা মামলার ঘানি আর হয়রানিতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন জনসেবায় নিয়োজিত স্বনামধন্য এই জনপ্রতিনিধি ও তার পরিবারের উপর দায়েরকৃত মামলা তদন্ত স্বাপেক্ষে প্রত্যাহারের দাবী উঠেছে।

জানা যায়, ২০২০ সালের গত ৪ জানুয়ারী পূর্ব মহেশখালীয়া পাড়ার কালা চাঁদের পুত্র আবুল মনসুর হত্যা মামলা নং-০৫/২০২০ইং মামলার প্রকৃত আসামীদের যাচাই-বাছাই এবং অধিকতর তদন্তের জন্য টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ মুঠোফোনে ডাকলে থানায় গিয়ে ওসির সাথে দেখা করতে যায় প্যানেল চেয়ারম্যান জাহেদ হোছাইন। ঐ দিন দুপুরে জাহেদ হোছাইন মেম্বারকে আকস্মিক থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলায় আটকিয়ে রাখেন ওসি প্রদীপ কুমার দাশ। বর্তমানে উক্ত মেম্বার ঐ চাঁদাবাজি মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন।

এরপর একই দিন বিকাল ৫টারদিকে জাহেদ মেম্বারকে থানায় রেখে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ পুলিশের বিশেষ বহর নিয়ে ইয়াবার চালান প্যাকেটে করে এনে বাড়িতে এসে বসত-ঘর ভাংচুর করে এবং জাহেদ মেম্বারের শয়ন কক্ষের নীচে ২০হাজার পিস ইয়াবা পুলিশেরা দিয়ে পরে উদ্ধার দেখিয়ে জনপ্রিয় এই মেম্বারকে উক্ত মিথ্যা মাদক মামলায় কারাগারে প্রেরণ করে। এই মামলায় তার সহধর্মিনী পারভীন সোলতানা ববিকে পলাতক আসামী করে।
Teknaf Pic B 26 09 21 scaled TEKNAF TODAY - সীমান্তের সর্বশেষ খবর
এছাড়া জাহেদ মেম্বারের স্ত্রী পারভীন সোলতানা ববি একজন হ্নীলার ঐতিহ্যবাহী মরহুম আলহাজ¦ আব্দুল মোনাফ সওদাগরের কনিষ্ট মেয়ে। যাদের পরিবারের কোন ধরনের অভাব-অভিযোগ নেই এবং রাষ্ট্রবিরোধী কাজে জড়িত থাকার কোন সাড়া-শব্দ পর্যন্ত নেই। সেই ঐতিহ্যবাহী পরিবারের একজন ভদ্র মহিলাকে মাদক মামলার পলাতক আসামী করে হেয়পন্ন করার ঘটনায় জনমনে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পরে টেকনাফ থানার দায়িত্ব প্রাপ্ত তদন্ত কর্মকর্তা বিষয়টি তদন্ত করে পারভীন সোলতানা ববির কোন ধরনের সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় মামলার সিএস থেকে বাদ দেওয়ার জন্য সুপারিশ করেন।

উক্ত মাদক মামলার এজাহারভূক্ত পাবলিক স্বাক্ষীগণ স্বইচ্ছায় নোটারী পাবলিকের কার্যালয়ে গিয়ে তাদেরকে জোরপূর্বক এসব মামলায় মিথ্যা স্বাক্ষী বানানো হয় বলে এফিডেভিটমূলে হলফনামা প্রদান করেন। এতেই স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে, টেকনাফ মডেল থানার সাবেক ওসি প্রদীপ বিশেষ মহলের ইন্দনে প্ররোচিত হয়ে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ৩ বারের নির্বাচিত জনপ্রিয় মেম্বারকে নানামুখী ষড়যন্ত্রের কবলে ফেলে সাজানো সংসার তছনছ করে পথে বসিয়েছে। একজন সরকারী আমলার সাজানো চক্রান্তে ফেলে একজন নির্বাচিত মেম্বারের সংসার তছনছ করে দেওয়ার ঘটনায় জনমনে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি করে।

এদিকে হোয়াইক্যং পূর্ব মহেশখালীয়া পাড়া মরহুম হাজী আব্দুস সাত্তারের পুত্র এবং ৮নং ওয়ার্ডের ৩বারের নির্বাচিত মেম্বার হওয়ায় এলাকার দালাল ও মাদক কারবারী চক্রের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাড়ায়। তাই এই সংঘবদ্ধ চক্রটি মিলে শান্ত,শিষ্ট,ভদ্র ও ন¤্র এই জনপ্রতিনিধিকে বেকায়দায় ফেলার জন্য গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। চিহ্নিত মাদক কারবারী চক্রের মোটাংকের টাকার বিনিময়ে টেকনাফ মডেল থানার সাবেক ওসি প্রদীপ জনসাধারণের বার বার রায়ে নির্বাচিত মেম্বার ও তার স্ত্রীকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেন। উক্ত মামলায় জাহেদ মেম্বার ও তার পরিবারের কোন ধরনের সম্পৃক্ততা ছিলনা। বেপরোয়া ওসি প্রদীপের এই ধরনের অহরহ অপকর্মের প্রতিবাদ করার সাহস তখন কারো ছিলনা। গত বছরের ৩১জুলাই সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান খুনের পর ওসি প্রদীপের হাতে মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার শত শত মানুষের অভিযোগ উঠতে শুরু করে। হোয়াইক্যং মডেল ইউপির ৮নং ওয়ার্ডের জনপ্রিয় মেম্বার জাহেদ হোসাইন ও তার পরিবার এই ধরনের উদ্দেশ্য প্রণোদিত, মিথ্যা ও সাজানো মামলায় হয়রানির শিকার হয়ে আজ পথে নেমেছে।

এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারণ জাহেদ মেম্বারসহ তার পরিবারের উপর দায়েরকৃত সব মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক মামলা তদন্ত স্বাপেক্ষে প্রত্যাহার করার জন্য সরকারী সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতনমহল, বিচার বিভাগ, আইন-শৃংখলা বাহিনীসহ সকলের আন্তরিক হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। ###