হাওর অঞ্চলে হবে উড়াল সড়ক

: নুরুল করিম রাসেল
প্রকাশ: ৩ years ago

টেকনাফ টুডে ডেস্ক : হাওর অঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন এবং পণ্য বাজারজাতকরণে সহযোগিতার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার ‘হাওর এলাকায় উড়াল সড়ক ও ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেকের বৈঠকে এ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়ে। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।

পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, হাওর এলাকায় উড়াল সড়ক ও ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর।

প্রকল্পটি সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর ও জামালগঞ্জ উপজেলা এবং নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলায় বাস্তবায়ন করা হবে। বাস্তবায়নকাল ধরা হয়েছে ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৫ সালের জুন (পরিকল্পনা কমিশনের প্রস্তাব: ২০২১ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জুন) পর্যন্ত। প্রকল্প ব্যয় ৩ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা। এর পুরোটাই সরকার বহন করবে।

প্রকল্পটি ২০২১-২২ অর্থবছরের এডিপিতে বরাদ্দবিহীন অননুমোদিত নতুন প্রকল্প তালিকায় নেই। তবে, প্রকল্পটির প্রক্রিয়াকরণে পরিকল্পনামন্ত্রীর সম্মতি নেওয়া হয়েছে।

প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রমগুলো হচ্ছে:
(ক) ৯৭.৮৬ কিলোমিটার অল সিজন উপজেলা সড়ক এবং ২০.২৭ কিলোমিটার ইউনিয়ন সড়ক উন্নয়ন;
(খ) ১৬.৫৩ কিলোমিটার সাবমার্জিবল উপজেলা সড়ক, ২২.৮৬ কিলোমিটার সাবমার্জিবল ইউনিয়ন ও গ্রাম সড়ক, ১০.৮১ কিলোমিটার এলিভেটেড সড়ক উন্নয়ন এবং
(গ) ৫৭টি ব্রিজ ও ১১৮টি কালভার্ট নির্মাণ (মোট দৈর্ঘ্য ৫৬৮৮ মিটার)।

অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় গ্রামীণ/ইউনিয়ন সড়ক উন্নয়ন, গ্রোথ সেন্টার ও বাজার উন্নয়ন, সেতু নির্মাণ ইত্যাদি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে, যার সঙ্গে প্রকল্পটি সঙ্গতিপূর্ণ।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে হাওর এলাকায় ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে সারা বছর মালামাল পরিবহন, উৎপাদিত কৃষি পণ্য, মৎস্যসম্পদ ইত্যাদি দ্রুত ও সুলভে পরিবহনের সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং গ্রামীণ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড গতিশীল হবে। এছাড়া, প্রকল্পটি গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণে অবদান রাখবে।