বিশেষ প্রতিনিধি :
দেশের মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন সেন্টমার্টিন দ্বীপের কর্মরত সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান কোষ্টগার্ড বাহিনীর কতিপয় সদস্যের হাতে অসহায় দুই সহোদর ব্যবসায়ী শারিরীক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ৫ ফেব্রুয়ারী রাত্রে এ ঘটনাটি ঘটে। জানা যায়, সেন্টমার্টিনদ্বীপের ৪নং ওয়ার্ডের মৃত জাফর আহমদের পুত্র শুটকী ব্যবসায়ী জিয়াউর রহমানের সাথে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ৬নং ওয়ার্ডের মৃত মোঃ আবুলের পুত্র মোঃ ইসমাইলের মধ্যে ৩ ফেব্রুয়ারী জেটিঘাট এলাকায় শুটকী দোকানে পাওনা টাকা সংক্রান্ত বিষয়ে কথাকাটাকাটি এবং এক পর্যায়ে মারামারি হয়। বিষয়টি স্থানীয় কোষ্টগার্ড বাহিনীকে জনৈক্য ইসমাইল মৌখিকভাবে অভিযোগ করলে কোষ্টগার্ড বাহিনী দোকানটি তালা লাগিয়ে দেয়। এসময় কোষ্টগার্ড বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে দোকান থেকে সটকে পড়ে মালিক। পরে ৫ ফেব্রুয়ারী রাত ১১ টায় কোষ্টগার্ড বাহিনীর সিসি নেতৃত্বে সদস্যরা শুটকী ব্যবসায়ী জিয়াউর রহমানকে আটক করতে তার বাড়ীতে যায়। ওরা জিয়াউর রহমানকে না পেয়ে তার ভাই কালামকে আটক করে কোষ্টগার্ড দপ্তরে নিয়ে নির্যাতন করে। এ নিয়ে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। শুটকী ব্যবসায়ী জিয়াউর রহমানের স্ত্রী ছমিরা আক্তার মুটোফোনে সংবাদকর্মীর কাছে জানায়, আমার স্বামী জিয়াউর রহমান একজন পেশাগত শুটকী ব্যবসায়ী। দীর্ঘদিন ধরে সে জেটিঘাট এলাকায় শুটকী ব্যবসা করে আসছে। স্থানীয় ইসমাইল আমার দোকানে এসে পাওনা টাকা সংক্রান্ত এর বিরোধ বাঁধে। এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে সে কোষ্টগার্ড বাহিনীকে অভিযোগ করলে, তারই সূত্র ধরে এর আক্রোসে এ অনাকাংখিত ঘটনাটি ঘটে। কেননা ইসমাইলের এক আতœীয় মুজিবুর রহমান কোষ্টগার্ড দপ্তরে বাবুচি পদে কর্মরত থাকার কারণে তার উপর এধরনের বর্বরতা শিকার হয়। এ প্রসঙ্গে টেকনাফ কোষ্টগার্ড বাহিনীর কর্মকরতা লেঃ কর্ণের ফয়সাল জানায়, তাকে নির্যাতন করা হয়নী এবং সরকারী কাজে বাঁধা প্রদান করার কারণে তাকে আটক করেছি। টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ও’সি) মাঈন উদ্দিন খান বলেন, এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়নী। ০৬ ফেব্রুয়ারী রাত ৮:০০ ঘটিকা পর্যন্ত এই রিপোর্ট লিখা খালিন সময়ে থানায় মামলা রুজু করা হয়নী।