সাগরে মাছ ধরতে গিয়েই দ*স্যু*দের কবলে পড়ে আরকান আর্মির হেফাজতে থাকা জেলার ১৬জন জেলে ফিশিং বোটসহ ফিরেছে

: নুরুল করিম রাসেল
প্রকাশ: ২ মাস আগে

হুমায়ূন রশিদ : কক্সবাজার জেলা সদরের ফিশারী ঘাট হতে বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকার করতে গিয়েই জলদস্যুদের কবলে পড়ে বোটের ডেকে ভেতরে বন্দি হয়ে মায়ানমার সীমান্তে গিয়েই আরকান আর্মির হাতে আটক হওয়ার পর টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে বিজিবির সহায়তায় ফিশিং বোটসহ স্বদেশে ফিরে পক্ষকাল পর পরিবার-পরিজনের নিকট ফিরেছে।

১৫ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১২টায় টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদরের হলরোমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ মহিউদ্দীন আহমেদ (বিজিবিএমএস) জানান,গত ১৪ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টারদিকে মায়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মির হেফাজতে থাকা সাগরে ফিশিং বোট নিয়ে মাছ শিকারে যাওয়া জেলার রামু উপজেলার তুরিঙ্গাকাটা গ্রামের মৃত হোসেন আহমেদের পুত্র মোঃ ইসমাইল (২৭), কক্সবাজার সদরের মৃত কেফায়েত উল্লাহর পুত্র আব্দুল হাফেজ (২৮), মৃত হাবিবুর রহমানের পুত্র আজিজুর রহমান (৪৫), মৃত অলি আহমদের পুত্র আবু হেনা (৪০), মৃত ঠান্ডু মিয়ার পুত্র আলী (৪০), মোস্তাকের পুত্র আরাফাত (৩০), তোফাজ্জলের পুত্র মোঃ হেলাল (২৮), মৃত নূর মোহাম্মদের পুত্র আমান উল্লাহ (৫০), মোঃ ওয়ারেজের পুত্র নবী হোসেন (২৮), মৃত মুকবুল আহমেদের পুত্র মোঃ সলিমুল্লাহ (৪৫), মৃত আমির হোসেনের পুত্র মোঃ ইউনুস (৫২), মোহাম্মদের পুত্র মোঃ সাগর (২২), আলী আকবরের পুত্র মোঃ সেলিম (২৮), মোস্তাক আহমদের পুত্র দিল মোহাম্মদ (২৭), মৃত মুকবুল হোসেনের পুত্র রহিম উল্লাহ (৫২) এবং মোঃ জয়নাল (৫৫) কে নাফনদী দিয়ে বিজিবির টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়ন কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করে।

তিনি আরো জানান,চলতি বছরের গত ২৮ সেপ্টেম্বর সকালে কক্সবাজারের নুনিয়ারছড়া ফিশারি ঘাট হতে ১৬জন জেলে একটি ট্রলারযোগে গভীর বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যায়। গত ৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় ৩টি ট্রলারে করে অজ্ঞাত জলদস্যুদল উক্ত জেলেদের ওপর আক্রমণ করে মারধর করার পর তাদেরকে ট্রলারের ডেকের ভিতরে বন্দি করে রাখে। গত ৭অক্টোবর ভোর ৪টারদিকে জলদস্যুরা জেলেদেরকে বঙ্গোপসাগরের মায়ানমার অংশে একটি চরে ছেড়ে দেয়। পরে জেলেরা মায়ানমারের বেসামরিক জনগণের মাধ্যমে আরাকান আর্মির সাথে যোগাযোগ করে এবং তাদের নিকট স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে। উক্ত জেলেরা প্রায় ৬দিন আরাকান আর্মির হেফাজতে থাকার পর গত ১৩অক্টোবর তাদের আটকের বিষয়টি বিজিবিকে অবহিত করে।

এরই প্রেক্ষিতে টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়ন কর্তৃপক্ষ মায়ানমার আরাকান আর্মির সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে ১৪ অক্টোবর সন্ধ্যায় নাফনদী দিয়ে ১৬জন জেলেকে বাংলাদেশে ফেরত আনে। সংবাদ সম্মেলন পরবর্তী ফিরিয়ে আনা ১৬জন জেলেকে তাদের নিকটতম আত্মীয়-স্বজনের সাথে যোগাযোগ করে তাদের পরিবারের নিকট হস্তান্তর করে বিজিবি। ###