খাইছে ধরা, খাইবে ধরা: সাধু সাবধান!
ইমাম খাইর :
কক্সবাজার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের প্রবেশ পথ থেকে ঘাটে ঘাটে কড়াকড়ি, জবাবদিহিতার মাঝেও বন্ধ হয়নি দালালদের দৌরাত্ম্য।
পরিচয় গোপন করে সুকৌশলে বাংলাদেশের পাসপোর্ট বানিয়ে নিচ্ছে রোহিঙ্গারা। উড়াল দিচ্ছে ভিনদেশে। মাঝে মাঝে ধরাও পড়ছে। তবু থামছে না।
প্রকৃত বাংলাদেশিদের পাসপোর্ট পেতে নানা হয়রানি ও ভোগান্তি পোহাতে হলেও রোহিঙ্গাদের হাতে পৌঁছে যাচ্ছে বাংলাদেশের পাসপোর্ট।
রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট পাইয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি দায়ী স্থানীয় কিছু জনপ্রতিনিধি ও রাজনীতিবিদ। দালালের ভূমিকায় কাজ করে যাচ্ছে সাংবাদিকতার মহান পেশার পরিচয় বহনকারী কিছু দুর্বৃত্ত। টাকা দিলেই মেলে পুলিশ ভেরিফিকেশন। টাকার লোভে অনেক বাংলাদেশ নাগরিক রোহিঙ্গাদেরকে নিজেদের স্বজন দাবি করে পাসপোর্ট করিয়ে দিতে প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করছে।
এসব বেড়াজাল থেকে কোন মতেই বেরিয়ে আসতে পারছে না পাসপোর্ট অধিদপ্তর। তাই, সরকারের এই গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরটির পেছনে লেগেই আছে দুর্নীতি আর বদনাম।
তবে, কক্সবাজার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের চিত্র কিছুটা হলেও ভিন্ন। রোহিঙ্গা প্রবণ ঝুঁকিপূর্ণ ৬টি জেলার মধ্যে কক্সবাজার অন্যতম। তাই এখানকার পাসপোর্ট আবেদনকারীদেরকে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে, প্রশ্নবানে জর্জরিত হয়ে চূড়ান্তভাবে পাসপোর্ট পেতে হয়। খুব সহজেই রোহিঙ্গাদের পার পাওয়ার সুযোগ নেই। হাতেনাতে ধরা পড়ার চিত্র প্রায় সময় তো আছেই।
তার জন্য সহকারি পরিচালক আবু নাঈম মাসুম সবচেয়ে প্রশংসার দাবিদার মনে করছে স্থানীয়রা।
১৬ জুন, একদিনের একটি চিত্রঃ
‘রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আগমণের পর ১৬ আনা লাভ হয়েছে কিছু এনজিও’র। আর নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলেছে সুযোগ সন্ধানী কিছু এলাকাবাসীর।
আজ (১৭ জুন) এক রোহিঙ্গা নারীকে নিজের বোন পরিচয় দিয়ে দৈনিক আলোকিত উখিয়া’র সাংবাদিক পরিচয় দানকারী রাশেদুল আসেন। তাদের আলাদা করে জবানবন্দি নেবারকালে দ্রুত অফিস থেকে পলায়ন করে। পরবর্তীতে রোহিঙ্গা মেয়েটা সব বলে দেয়।
৭০,০০০/ টাকার বিনিময়ে বাবা পরিচয় দানকারী বাংলাদেশী সুরত আলম আসল নাটের গুরু। সেই কুতুপালং ক্যাম্প থেকে চুক্তি করে মেয়ের পরিবারের সাথে।
অবশেষে মোবাইল কোর্ট এর মাধ্যমে ৬ মাসের সাজা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
উপসংহারঃ
হয়তো আগামী কয়েকদিনের মধ্যে পাসপোর্ট অফিস কক্সবাজার নিয়ে অনেক পত্রিকা অপপ্রচার করে নিউজ ছাপবে। আর তা আপামর জনতা বিশ্বাস করবে। আজ বস্তুনিষ্ঠ খবর পদপিষ্ট। সমাজকে যে পথ দেখাবে তার চোখে ছানি পড়েছে।
কিন্ত, এভাবে আর কতদিন দেশী মীর জাফরদের সাথে লড়া যাব?
এ লেখা কোন বোদ্ধা সাংবাদিক ভাইয়ের বিপক্ষে নয় বরং যারা সাংবাদিকতার মত মহান পেশাকে কলুষিত করছেন তাদের বিপক্ষে।’
(কক্সবাজার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক আবু নাঈম মাসুমের ফেসবুক স্ট্যাটাস)
সূত্র কক্সবাজার জার্ণাল