ফারুক আহমদ : উখিয়ার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের খেওয়া ছড়ি গ্রামে সন্ত্রাসীদের ধারলো কিরিচের আঘাতে আবুল কালাম (৩০) নামক এক ব্যক্তির দু হাতের ৪টি আঙ্গুল হারিয়ে পঙ্গুত্ব অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যুশয্যায় প্রহর গুনছেন।
এঘটনায় আনজু সিকদারের পুত্র শাহাব উদ্দীন বাদী হয়ে ফরিদ আলম কে প্রধান আসামি করে উখিয়া থানায় ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন থানার ডিউটি অফিসার। এদিকে শুক্রবার ( ২ অক্টোবর) সকালে তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই তারেক ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ প্রত্যক্ষদর্শী ও সাক্ষীদের জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছেন মামলার বাদী। তবে ঘটনায় জড়িত চিহ্নিত সন্ত্রাসীদেরকে এখনো পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি।
তদন্তকারী অফিসার জানান, ঘটনার পরপরই আসামিরা গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে রয়েছে। পুলিশ আসামিদেরকে গ্রেপ্তার করতে সম্ভাব্য স্থানে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়,উপজেলার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব খেওয়া ছড়ি গ্রামের যাতায়াতের পথ নিয়ে দু পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।
এ ঘটনার জের ধরে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে প্রতিপক্ষ ফরিদ আলম, নুরুল আলম ও মোহাম্মদ করিমের নেতৃত্বে একদল চিহ্নিত সন্ত্রাসী পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে মৃত মোজাহের মিয়া সিকদারের পুত্র আবুল কালামকে ধারলো কিরিচ ও ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করে।
ফুফাতো ভাই জাহেদ জানান, ধারালো কিরিচের আঘাতে আবুল কালামের দু হাতের ৪ টি আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় । এসময় তাকে রক্ষা করতে এসে শাহাবুদ্দিনের স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিন (৩৪) সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার দিন চিৎকার শুনে স্থানীয় গ্রামবাসী এগিয়ে এসে আহত আবুল কালামকে প্রথমে উখিয়া হাসপাতালে সেখানে অবস্থা অবনতি হলে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, দুই হাতের ৪ টি আঙ্গুল হারিয়ে আবুল কালাম পঙ্গুত্ব অবস্থায় হাসপাতলে মৃত্যুশয্যায় রয়েছে।
###