নিজস্ব প্রতিবেদক,চকরিয়া : চকরিয়ায় গত ২৯ নভেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের এমপি পদপ্রার্থীর কর্মীসমর্থকদের গাড়িবহরে হামলা-সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় পৃথক দুটি মামলা রুজু করা হয়েছে। দুটি মামলায় উভয়পক্ষের ৮৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
দুইপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে লিখিত এজাহার পাওয়ার পর চকরিয়া থানায় দুটি মামলা রেকর্ড করা হয়। এতে এজাহারনামীয় আসামি ৫১ জনকে আসামি করা হয়। অজ্ঞাত আসামি হয়েছেন আরও ৩৫ জন। দুটি মামলা রুজুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে- দুইটি মামলায় বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ অনেকে রয়েছে ।
থানায় রুজুকৃত একটি মামলার বাদি সাহারবিল ইউপি চেয়ারম্যানের সমর্থক মোহাম্মদ আইয়ুব। সে সংঘর্ষের সময় চোখে প্রচণ্ড আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তিনি ঢেমুশিয়া ইুনিয়নের মোহাম্মদ হোছাইনের পুত্র বলে জানা যায়।
রুজুকৃত মামলার এজাহারনামীয় ৩০ জনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- সাহারবিল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চার নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য এনামুল হক, মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান মহসিন বাবুল, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ছরওয়ার আলমসহ বেশ কয়েকজন।
অন্যদিকে কক্সবাজার ১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত এমপি পদপ্রার্থী আলহাজ্ব সালাহউদ্দিন আহমদ সিআইপি সংবর্ধনা সভায় যাবার পথে গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় চকরিয়া থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। সাহারবিল ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ডের সাইজঘোনা গ্রামের মুজিবুর রহমান সুজন বাদী হয়ে রুজুকৃত এ মামলায় এজাহারনামীয় আসামিরা হলেন চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নবী হোছাইন চৌধুরী, তাঁর ভাই বাদল মিয়া, সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা তানবিন ইসলাম সায়মন, সাহারবিল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাপ্পি সহ প্রমুখ।
জানাযায়,গত ২৯ নভেম্বর সাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নবী হোছাইন চৌধুরী বাড়ির সামনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর গাড়িবহর থেকে তাকে নিয়ে কটূক্তিমূলক শ্লোগান দেয়া নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত ঘটে। এরপর বিষয়টি নিয়ে সাহারবিল ইউনিয়নের রামপুর স্টেশনে দুইপক্ষে-সংঘর্ষ ঘটে। এতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাসহ উভয়পক্ষের কয়েকজন আহত হয়।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, গত ২৯ নভেম্বর ‘সাহারবিলে সংগঠিত সংঘর্ষের ঘটনায় দুইপক্ষের পৃথক দুটি লিখিত এজাহার মামলা হিসেবে রুজু করা হয়েছে। ##