টেকনাফ টুডে ডেস্ক : নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটের নেতৃত্বাধীন সরকার পদত্যাগ করেছে। শিশু কল্যাণ তহবিলের টাকা নেয়ার ক্ষেত্রে হাজার হাজার পরিবারের বিরুদ্ধে প্রতারণার যে ভুল অভিযোগ আনা হয়েছিল, সেই কেলেঙ্কারির দায় নিয়ে পদত্যাগ করেছে নেদারল্যান্ডস সরকার। প্রধানমন্ত্রী রুট মন্ত্রিসভার পদত্যাগপত্র দেশটির রাজার কাছে জমা দিয়েছেন।
শুক্রবার বিবিসির খবরে দেশটির সরকারের পদত্যাগের সিদ্ধান্তের কথা জানা গেছে।
পদত্যাগ করার পর মি. রুট সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘নিরপরাধ মানুষদের অপরাধী বানানো হয়েছিল। এতে তাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে।’
পদত্যাগ করলেও মার্চে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সংসদ নির্বাচনের আগ পর্যন্ত মি. রুটের সরকারই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হিসেবে দায়িত্বে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
নির্বাচনের মাত্র দুই মাস বাকি থাকতে শুক্রবার হেগে মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডাকেন প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে। সেখানে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হলে প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে নেদারল্যান্ডসের রাজা উইলেম-অ্যালেক্সান্ডারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
বিবিসির খবরে বলা হয়, ২০১২ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে প্রায় ২৬ হাজার পরিবারের বিরুদ্ধে শিশু কল্যাণ তহবিলের সহায়তা নেয়ার ক্ষেত্রে প্রতারণা বা জালিয়াতির অভিযোগ আনেন নেদারল্যান্ডসের কর কর্মকর্তারা।
সেসব পরিবারকে সহায়তার অর্থ ফেরত দিতে বাধ্য করা হয়। ফলে বহু পরিবার নিদারুণ আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে পড়ে যায়। বহু পরিবারকে তাদের ঘর হারাতে হয়, এমনকি বিবাহ বিচ্ছেদের মত ঘটনাও ঘটে।
পরে দেখা যায়, ঠিক জায়গায় সই না থাকা বা ফরম পূরণের ক্ষেত্রে ছোটখাটো ভুলের জন্যও অনেক পরিবারের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছে। এসব পরিবারের একটি অংশ আবার অভিবাসী।
নেদারল্যান্ডসের কর কর্মকর্তারা গতবছর প্রথমবারের মত স্বীকার করে নেন যে, শুধুমাত্র দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকার কারণেই বহু পরিবারের ক্ষেত্রে বাড়তি তদন্ত চালিয়েছিলেন তারা।