নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ১শ’ কোটি টাকার ‘হীরক খণ্ড’ পাওয়ার গুজবে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
কথিত হীরক খণ্ডটি কেনার নাম করে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল বন্দরের দেউলী চৌরাপাড়া এলাকার মাসুম মিয়ার কাছ থেকে তা উদ্ধার করে। পরে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখা গেছে তা আসলে হীরক নয়, এটি একটি কাঁচ বা পেপারওয়েট।
এলাকাবাসী জানায়, বন্দরের দেওলী চৌরাপাড়া এলাকার আশু মিয়ার ছেলে মাসুম তার মামার বাড়ি টাঙ্গাইল থেকে হীরার মতো দেখতে একটি কাঁচের খণ্ড নিয়ে আসেন।
আলোতে ঝলমল করায় অনেকে এটাকে হীরক খণ্ড বলে ধারণা করেন। কথাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসীর মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এলাকাবাসীর ধারণা, এটা হীরা হলে এর মূল্য হবে ১শ’ কোটি টাকা। পরে ক্রেতা সেজে ডিবি পুলিশ এসে এটাকে উদ্ধার করে।
এরপর তারা যাচাই করে দেখতে পান এটা একটি কাঁচের তৈরি পেপারওয়েট। ডিবি পুলিশ পেপারওয়েটটি স্থানীয় কাউন্সিলর আফজাল হোসেনের কাছে জমা দেন।
এ ব্যাপারে মাসুমের মা মনোয়ারা বেগম জানান, তার ভাই সিদ্দিক মিয়া ২ বছর আগে সিলেট থেকে এ পাথর খণ্ডটি কুড়িয়ে পেয়ে বাড়ি নিয়ে আসেন। পাথরটি নিয়ে বাড়ির বাচ্চারা খেলা করতো।
এরপর তার ছেলে মাসুম এটি টাঙ্গাইল থেকে তার বাড়িতে নিয়ে আসে। পাথরটি হাতে নিয়ে রাস্তায় বের হলে এলাকার কিছু লোক এটাকে দামী হীরা বলে মন্তব্য করেন। আর এতেই এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
রোববার রাতে ডিবি পুলিশ এসে তার ছেলেসহ কয়েকজনকে আটক করে। পরে এলাকাবাসীর অনুরোধে তাদের ছেড়ে দেন এবং পাথরটি জব্দ করে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে ডিবি পুলিশের দারোগা আসাদ জানান, দামী হীরা বিক্রির সংবাদ পেয়ে ডিবি দারোগা শাহীন ক্রেতা সেজে ঘটনাস্থলে গিয়ে পাথরটি জব্দ করে এবং পরীক্ষা করে দেখেন এটা একটি কাঁচের তৈরি পেপারওয়েট।
পরে মাসুম ও কবির নামে ২ জনকে আটক করলেও এলাকাবাসীর অনুরোধে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। পাথর খণ্ডটি স্থানীয় কাউন্সিলর আফজাল হোসেনের কাছে জমা দেয়া হয়েছে। এটা হীরা নয়। নিছক গুজব।
