নিজস্ব প্রতিবেদক : টেকনাফের রোহিঙ্গা অধ্যূষিত উত্তর লেদা সীমান্ত পয়েন্টে মাদক কারবারী ও বিজিবি জওয়ানদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনার পর পরিত্যক্ত অবস্থায় ৩০হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।
টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়ন কর্তৃক প্রেরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়,১২নভেম্বর ভোররাত সাড়ে ৩টারদিকে মিয়ানমার হতে ইয়াবার চালান আসার সংবাদ পেয়ে লেদা বিওপির বিশেষ টহল দল রোহিঙ্গা ক্যাম্প অধ্যূষিত দক্ষিণ লেদা ছ্যুরিখাল পয়েন্ট সংলগ্ন লবণ মাঠে অবস্থান নেয়। কিছুক্ষণ পর একজন মানুষ নাফনদী হতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দিকে আসতে দেখে দাড়ানোর জন্য চ্যালেঞ্জ করলে সে বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে কয়েক রাউন্ড ফাঁকাগুলিবর্ষণ করে। তখন বিজিবি জওয়ানেরা সরকারী সম্পদ ও প্রাণ রক্ষার্থে পাল্টা কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করলে উক্ত ব্যক্তি আতংকিত হয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঢুকে পড়ে। এরপর ঘটনাস্থল তল্লাশী করে একটি পলিথিনের ব্যাগ পাওয়া যায়। তা উদ্ধার করে ব্যাটালিয়ন সদরে নিয়ে গণনা করে ৩০হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। গোলাগুলির ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করার জন্য তদন্ত কার্য্যক্রম চলছে।
জব্দকৃত এসব ইয়াবা পরবর্তীতে উর্দ্বতন কর্মকর্তা, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তি ও মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতিতে প্রকাশ্যে ধ্বংস করার জন্য ব্যাটালিয়ন সদরে জমা রাখা হয়েছে বলে ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান (পিএসসি) নিশ্চিত করেন।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ লেদা, উত্তর মোচনী এবং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একটি গ্রæপ শক্তিশালী সিন্ডিকেট করে রাতে মানব পাচার ও মাদকের চালান খালাসে সম্পৃক্ত রয়েছে বলে জনশ্রæতি রয়েছে। পূর্ব হতে তাদের এই অপকর্ম নিয়ে মারামারী, গোলাগুলি, অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় স্থানীয়দের মনে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তাদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা অতীব জরুরী হয়ে পড়েছে। ###
