বার্তা পরিবেশক : গত ৬জুলাই টেকনাফ টুডে অনলাইন এবং ৭জুলাই দৈনিক আজকের দেশবিদেশ পত্রিকায় প্রকাশিত “নুরুল হুদা মেম্বারের সহযোগী ইয়াবা শুক্কুর লেদা কমিউনিটি পুলিশ ও মাদক নির্মূল কমিটির সভাপতি!!!” শীর্ষক সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। যা এলাকায় বিদ্যমান স্থানীয় রাজনৈতিক এবং আধিপত্য বিস্তারকারী দূবৃর্ত্ত চক্রের সাজানো ষড়যন্ত্র।
আপনারা সচেতনমহল নিশ্চয় অবগত রয়েছেন,হ্নীলা ইউনিয়নের লেদায় দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত গ্রুপ সমুহের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মারামারী, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, মামলা মোকর্দ্দমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। আমিও আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান বিধায় প্রতিপক্ষের বিভিন্ন মামলায় হয়রানির সম্মুখীন হই। বিগত বিএনপি শাসনামলে তাদের মিথ্যা মামলায় হয়রানিতে নিরুপায় হয়ে সৌদি আরব পাড়ি দিই। ২০০৯ সালে জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর আমি দেশে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিই। বিগত ইউপি নির্বাচনের ৬মাস পূর্বে আমি দেশে চলে আসি। এরপর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন হলে মেম্বার পদে আওয়ামী পরিবারের সন্তান হিসেবে নুরুল হুদা মেম্বারের পক্ষে ভোট করি। আমি কাউকে হুমকি-ধমকি দিয়ে টাকা-পয়সা নিইনি। আমি নুরুল হুদার এপিএস হওয়ার প্রশ্নই উঠেনা। বরং জনৈক ইসমাঈল মিস্ত্রীই নুরুল হুদা পরিবারের যাবতীয় কিছু দেখাশুনা করতো ; যা সর্বজন জ্ঞাত। তরে রাজনৈতিক পরিচিতির কারণে এলাকায় মেম্বার না থাকায় এলাকার জনসাধারণের জন্য বিভিন্ন স্থানে কথা বলায় আমার অপরাধ। এতেই এলাকার বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত লোকজন আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করে। আমি কোন ধরনের মাদক কারবারে জড়িত না।
২০১৪সালে পুনরায় আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে সারাদেশে মাদক বিরোধী অভিযান জোরদারের পাশাপাশি কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামকে ঢেলে সাজানোর কার্য্যক্রম শুরু করে। বিগত হ্নীলা ইউনিয়ন কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সভাপতি/সম্পাদক আমাকে ৮নং ওয়ার্ড কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সভাপতি মনোনীত করেন। উক্ত কমিটিতে জনৈক ইসমাঈল মিস্ত্রী সাধারণ সম্পাদক ছিলেন কিন্তু মাদক মামলাজনিত কারণে পরবর্তীতে বাদ পড়ে যায়। তখন হতে প্রশাসনকে মাদক উদ্ধারসহ আইন-শৃংখলা যাবতীয় কাজে যথাযথ সহায়তা করে আসছি। এই কারণে এলাকার বিএনপি-জামায়াত এবং মাদক কারবারী চক্র মিলে আমার বিরুদ্ধে ষড়য়ন্ত্র শুরু করে। টেকনাফ মডেল থানার বর্তমান অফিসার্স ইনচার্জ প্রদীপ কুমার দাশ স্যার দায়িত্ব গ্রহণের পর হতে মাদক দমনে সরকারের জিরো টলারেন্সনীতি বাস্তবায়নে মাদক বিরোধী অভিযান জোরদার, বন্দুক যুদ্ধ, ইয়াবা প্রাসাদে গায়েবী হামলা, মাদক চালান খালাসে সহায়তাকারী নৌকায় গায়েবী আগুনে কোণঠাসা হয়ে পড়ে মাদক কারবারীরা। নিরুপায় হয়ে ১০২জন ইয়াবা গডফাদার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে আ্ত্মসমর্পণ করে। এরপরও মাদক চোরাচালান অব্যাহত থাকায় বিভিন্ন আইন-শৃংখলা বাহিনীর হাতে এখনো পর্যন্ত অনেক মাদক কারবারী নিহত হয়। আইন-শৃংখলা বাহিনীর অভিযানে এখন টেকনাফে মাদক তৎপরতা ৭৫-৮০% কমে এসেছে।
বর্তমানে হ্নীলা ৮নং ওয়ার্ডের কমিউনিটি পুলিশিং ফোরাম এবং মাদক নির্মূল কমিটি পূর্ণগঠনের প্রক্রিয়া চলছে। প্রত্যেক ওয়ার্ডে পদাধিকার বলে ইউপি মেম্বারদের এসব কমিটিতে মনোনীত করার প্রক্রিয়া চললেও অত্র ওয়ার্ডের মেম্বারগন মামলাজনিত কারণে এসব কমিটিতে থাকতে পারছেনা। এখনো এসব কমিটি গঠিত হয়নি তবে পূর্বের দায়িত্বের কারণে এখনো আইন-শৃংখলা বাহিনীকে সহায়তা করায় মাদক সংশ্লিষ্ট চক্রটি আমার বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লাগে। এই কারণেই বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে আইন-শৃংখলা বাহিনীকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালিয়েছে। আমি এই ধরনের মিথ্যা,বানোয়াট,ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আইন-শৃংখলা বাহিনীকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহবান জানাচ্ছি।
প্রতিবাদকারী :
আব্দু শুক্কুর
লেদা, হ্নীলা, টেকনাফ।