টেকনাফ টুডে ডেস্ক : লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে তৎপর বিদ্রোহী সেনা কমান্ডার জেনারেল খলিফা হাফতারের বাহিনী তুরস্কের একটি জাহাজ আটক করেছে। লিবিয়ার জাতিসংঘ সমর্থিত সরকারের সঙ্গে তুরস্কের প্রতিরক্ষা চুক্তি সইয়ের পরপরই এমন পদক্ষেপ নিল লিবিয়া সরকারকে ক্ষমতা থেকে উৎখাতে তৎপর হাফতার বাহিনী।
লিবিয়ার জাতীয় সংহতির সরকারের সঙ্গে সই হওয়া চুক্তিটি ইতোমধ্যে তুরস্কের পার্লামেন্টে অনুমোদন পেয়েছে। বিদ্রোহী হাফতার বাহিনীর মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেছেন, তুরস্কের ওই জাহাজটিকে লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় দেরনা শহরের রাস আল-হিলাল বন্দরে নেয়া হয়েছে। সেখানে জাহাজটিকে তল্লাশি করা হয়।
advertisement
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া হাফতার বাহিনীর একটি ফুটেজ দেখা যাচ্ছে, তাদের বাহিনীর সদস্যরা আটক তুর্কি জাহাজটির তিন ক্রুকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। এছাড়া হাফতার বাহিনী তুরস্কের ওই তিন নাগরিকের পাসপোর্টের ছবি প্রকাশ করেছে। তবে জাহাজটিতে কী ধরনের পণ্য বহন করা হচ্ছিল তা জানায়নি।
২০১৪ সাল থেকে লিবিয়ায় গৃহযুদ্ধ চলছে। দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় তবরুক শহরভিত্তিক জেনারেল হাফতার বাহিনী ও জাতিসংঘ স্বীকৃত রাজধানী ত্রিপোলিভিত্তিক জাতীয় সরকারের মধ্যে এ যুদ্ধ চলছে। লিবিয়ায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় স্বীকৃত ত্রিপোলি সরকারকে সমর্থন দিয়ে আসছে তুরস্ক।
গাদ্দাফির সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান হাফতার লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (এলএনএ) নামে নিজস্ব সেনাবাহিনী গঠন করেন। গত এপ্রিল থেকে হাফতার বাহিনী হামলা চালিয়ে লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিসহ দেশের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা করছে। সম্প্রতি ত্রিপোলির উপকণ্ঠে ব্যাপক হামলা শুরু করেছে এলএনএ।
ভূমধ্যসাগর উপকূলবর্তী দেশ লিবিয়ায় সেনা পাঠানোর ব্যাপারে তুরস্ক ও লিবিয়া সরকারের মধ্যে সম্প্রতি যে চুক্তি হয়েছে তাতে করে লিবিয়ার জাতিসংঘ সমর্থিত সরকারের পক্ষে লড়তে তুরস্ক সেনাসহ সব ধরনের সামরিক সরঞ্জাম পাঠাবে। হাফতার বাহিনী তারই প্রতিক্রিয়ায় তুর্কি জাহাজ আটক করলো।