রো-হি-ঙ্গা দূ-বৃ-র্ত্তদের আইনের আওতায় আনা হলে বন্ধ হবে অ-প-হ-র-ণ মু-ক্তি-পণ আদায় ও অ-স্ত্র-বাজি

: নুরুল করিম রাসেল
প্রকাশ: ২ মাস আগে

আব্দুর রহমান : টেকনাফে রোহিঙ্গা ডাকাত দলের হাতে অপহরণের পর নির্মম নির্যাতন ও মুক্তিপণ আদায় বন্ধে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় লোকজন। এ সময় তারা ১২টি দাবি তুলে ধরেন।

বক্তারা বলেন, রোহিঙ্গা ডাকাতরা আটক হলে অপহরণ বাণিজ্য ঠেকানো যাবে। বুধবার হ্নীলা বাসস্ট্যান্ডে মানববন্ধন হয়। এতে ছাত্র, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, শ্রমিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।

হ্নীলা আল-ফালাহ একাডেমির সিনিয়র শিক্ষক সায়েম সিকদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন হ্নীলা বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জহির আহমদ ও ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর আল মাসুদ।

বক্তারা বলেন, অপহরণ বাণিজ্য বন্ধে প্রশাসনকে সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নিতে হবে। অন্যথায় এটি রোধ হবে না। অপহরণের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে। এ ছাড়া অপহরণকারীদের কারা আশ্রয় দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। নতুন করে কেউ অপহরণের শিকার হলে আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন তারা। কয়েক দিন আগে টেকনাফের পাঁচজনকে অপহরণ করা হয়। তাদের মধ্যে একজনকে মুক্তিপণ দিয়ে ফেরত আনেন। বাকিদের হদিস মেলেনি।

মানববন্ধনে ১২টি দাবি তুলে ধরা হয়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে– রোহিঙ্গা ডাকাত ও স্থানীয় ডাকাত নির্মূলে দ্রুত রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও পাহাড়ভিত্তিক যৌথ অভিযান পরিচালনা করতে হবে, নিশ্চিত করতে হবে দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন, রোহিঙ্গা ডাকাতদের সহযোগী স্থানীয় দুষ্কৃতকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে, রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও এর বাইরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল নিশ্চিত করতে হবে, সিআইসি অফিস ও এপিবিএনের কার্যক্রম আরও গতিশীল করা এবং তাদের জবাবদিহির আওতায় আনা, ক্যাম্পের বাইরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পে আনতে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে, রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প থেকে বের হওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে হবে, রোহিঙ্গাদের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয়দের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন করতে হবে সশস্ত্র বাহিনী।