টেকনাফ টুডে ডেস্ক : রোহিঙ্গা শিবিরে এনজিওগুলোর বিরুদ্ধে শর্ত লঙ্ঘন করে কার্যক্রম পরিচালনার প্রমাণ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) রোহিঙ্গা ইস্যুর সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে ঢাকায় নিযুক্ত কূটনীতিকদের ব্রিফ করার পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ঢাকায় নিযুক্ত কূটনীতিক ও জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন শুরুর সর্বশেষ প্রচেষ্টাটি ব্যর্থ হওয়ার বিষয়ে অবহিত করেন ড. মোমেন। পররাষ্ট্র পতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ও পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, তারা (এনজিও) শর্তের বাইরে রাজনৈতিক কাজকর্ম করছে কিংবা উস্কানি দিচ্ছে যদি এমন কাজের প্রমাণ পাই তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে সশস্ত্র গ্রুপ কাজ করছে-এ ধরনের কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। তবে একটি ঘটনা ঘটেছিল, সঙ্গে সঙ্গে তাদের আটক করেছি। একটি দল কিছু দা-কুড়াল বানিয়েছিল, আমরা তাদের অ্যারেস্ট করেছি।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার ২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর চুক্তি সই করে। পরে দুই দেশ ২০১৮ সালের ১৬ জানুয়ারি মাঠপর্যায়ে কার্যক্রম এগিয়ে নিতে ‘ফিজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্ট’ নামে চুক্তি করে। ‘ফিজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্ট’ অনুযায়ী, প্রত্যাবাসন শুরুর দুই বছরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এ বিষয়ে অগ্রগতি খুবই সামান্য।
রাখাইন রাজ্যে প্রত্যাবাসনের আগে যাচাইয়ের জন্য ২৯ জুলাই ছয় হাজার পরিবারের ২৫ হাজার রোহিঙ্গার নতুন একটি তালিকা মিয়ানমারের কাছে হস্তান্তর করে বাংলাদেশ। এ নিয়ে বাংলাদেশের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫৫ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা পেয়েছে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তারা প্রত্যাবাসন শুরুর জন্য মাত্র ৩ হাজার ৪৫০ রোহিঙ্গাকে ছাড়পত্র দিয়েছে।
তবে ব্যাপক প্রস্তুতির পরও রোহিঙ্গাদের অনিচ্ছার কারণে ২২ আগস্ট দ্বিতীয়বারের মতো আটকে যায় স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন শুরুর কার্যক্রম। রোহিঙ্গাদের প্রথম দলের ফেরার কথা ছিল গত বছরের ১৫ নভেম্বর। কিন্তু রাখাইনে অনুকূল পরিবেশ নেই দাবি করে রোহিঙ্গারা ফিরতে রাজি না হওয়ায় সেই প্রচেষ্টাও ব্যর্থ হয়।