রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া

: নুরুল করিম রাসেল
প্রকাশ: ৬ years ago
Rohingya refugee volunteers walk along Balukhali refugee camp in Ukhia district near Cox's Bazar on August 23, 2018. - Nearly one million Rohingya Muslims marked Eid al-Adha on Wednesday in the world's largest refugee camp, almost a year to the day since a brutal military crackdown drove the persecuted minority from Myanmar in huge numbers. (Photo by Dibyangshu SARKAR / AFP)

কায়সার হামিদ মানিক :: উখিয়া-টেকনাফের ৩০ টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১১ লাখের অধিক রোহিঙ্গাকে জিম্মি করে রেখেছে এক হাজারের অধিক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা।একের পর এক ঘটনায় ভাবিয়ে তুলেছে স্থানীয় প্রশাসন সহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে। ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। সরকার মানবতার দৃষ্টিকোণ থেকে তাদেরকে এদেশে আশ্রয় দিয়েছে। কিন্তু রোহিঙ্গারা তা ভূলে গিয়ে এখন সরকারি-বেসরকারি লোকজনের উপর চড়াও হয়ে হামলা শুরু করেছে। তুচ্ছ ঘটনা ও গুজবে তারা যেকোন মুহুর্তে বড় ধরনের ঘটনা সংঘঠিত করতে দ্বিধা করছেনা। প্রশাসনও এসব ঘটনা সামাল দিয়ে হিমশিম খাচ্ছে।
রোহিঙ্গাদের নিকট থেকে জানা গেছে, প্রত্যাবাসন বিলম্বিত হওয়ার কারনে রোহিঙ্গারা দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা হাতে নিয়ে তাদের অবস্থান নিশ্চিত করার জন্য সহজ-সরল রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করে আধিপত্য বিস্তার করার চেষ্টা করছে। বিশেষ করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অভ্যান্তরে গড়ে উঠা দোকান-পাঠ দখলে নিতে রোহিঙ্গাদের কয়েকটি গ্রুপ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।
তাজনিমারখোলা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক মাঝি (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) জানান, তার ক্যাম্পে এক হাজারের অধিক দোকান পাট রয়েছে যে গুলোর মধ্যে অধিকাংশ নিয়ন্ত্রন করে রোহিঙ্গা নেতারা। বর্তমানে সেই দোকান গুলো দখল করার জন্য আরেকটি রোহিঙ্গা গ্রুপ সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তারা প্রতিনিয়ত দোকান ব্যবসায়ীদের হুমকি-ধমকি দিয়ে যাচ্ছে। যার কারনে ক্যাম্পে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
জামতলি ক্যাম্পের একটি রোহিঙ্গা নেতা জানান, তার ক্যাম্পেও কয়েক’শ দোকান রয়েছে যে গুলো রোহিঙ্গারা দেখাশোনা করে। এগুলো নিয়েও দু’গ্রুপের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে মতবিরোধ।
কুতুপালং ক্যাম্পের এক যুবক মুঠোফোনে এ প্রতিবেদককে বলেন, মূলত রোহিঙ্গা বিদ্রোহী সংগঠন আলেকিন, আরসার সদস্যরা এসব দোকান-পাট দখল করার জন্য নতুন করে শক্তি প্রয়োগ করছে। যার প্রমান নৌকার মাঠ। সে বলেন, ক্যাম্পের সন্ত্রাসী মার্স প্রকাশ শাকের, ভুট্টো-ইউনুছ ও নবী হোছন গ্রুপের মধ্যে ৬ নং ক্যাম্পের নৌকার মাঠের বাজারের আধিপত্য নিয়ে সংঘর্ষ হয়।
রোহিঙ্গা নেতা সিরাজুল মোস্তফা বলেন, রোহিঙ্গারা দু’গ্রুপে বিভক্ত হয়ে প্রতিনিয়ত খুন, ছিনতাই, ডাকাতি, গুম, অপহরণসহ নানা অপরাধ কর্মকান্ডে জড়িত হয়ে পড়েছে। তারা এদেশে শান্তিতে বসবাস করতে পারলেও নিজেরা গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ছে। বর্তমানে রোহিঙ্গা শিবিরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে বলে সে জানান।