রত্না পালংয়ে ১৮টি হেফজ ও এতিমখানার ৫শত শীতার্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে কম্বল বিতরণ

: নুরুল করিম রাসেল
প্রকাশ: ৫ years ago

ফারুক আহমদ : উখিয়া উপজেলার রত্নাপালং ইউনিয়নের ১৮টি হেফজ খানা ও এতিমখানায় অধ্যায়নরত শীতার্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।
নতুন বছরের প্রথম দিনে রাতে কোরআন পড়ুয়া শিশু এতিম ও দুস্থ শিক্ষার্থীদের হাতে কম্বল তুলে দেন উখিয়া উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নিকারুজ্জামান চৌধুরী ও রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খাইরুল আলম চৌধুরী। রাতে কম্বল পেয়ে শীতার্ত গরীব শিশু শিক্ষার্থীরা মন ভরে খুশিতে মেতে উঠে।
উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় ও রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদের ব্যবস্থাপনায় গত বুধবার রাতেই এসব শীত বস্ত্র বিতরণ করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিকারুজ্জামান চৌধুরী ও রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খাইরুল আলম চৌধুরী বলেন অসহায় ও অনাথ শিশু শিক্ষার্থীদের হাতে শীতবস্ত্র দিতে পেরে বেশ ভালোই লেগেছে। ভবিষ্যতে সুযোগ পেলে আরো দেওয়া হবে।
এ সময় মেম্বার ডাক্তার মোকতার আহমদ, মেম্বার মাহবুবুল আলম মেম্বার কামাল উদ্দিন,সাংবাদিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খাইরুল আলম চৌধুরী জানান খোন্দকার পাড়া,ভালুকিয়া পালং (বেলুয়া বাপের পাড়া) থিমছড়ি,মাঝের পাড়া,আমতলী, তুলাতুলি,চাকবৈটা, গয়ালমা,কামারিয়ার বিল,বায়তুশ শরফ, রহুল্লার ডেবা, তৈলী পাড়া, রত্না পালং, পশ্চিম রত্না,রুমখা বাজার সহ বিভিন্ন এলাকায় স্থাপিত ১৮টি মাদ্রাসায় পরিচালিত হাফেজ খানা ও এতিমখানায় অধ্যায়নরত ৫ শতাধিক দুস্থ গরিব শিশু শিক্ষার্থীদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়ছে।
তিনি এই সময় উপস্থিত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বেশ কয়েকটি হেফজ খানা ও এতিমখানার অবকাঠামো উন্নয়নে অনুরোধ করেন ।
এদিকে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নিকারুজ্জামান চৌধুরী শীতার্ত শিশু শিক্ষার্থীদের মাঝে কম্বল বিতরণ করতে এসে হেফজখানা ও এতিমখানায় উন্নয়নেও প্রতিশ্রুতি দেন ।