অনলাইন ডেস্ক : বাড়ি বসে অনলাইনে পড়াশোনা, অফিসের কাজ করেন অনেকেই। ফলস্বরূপ ঘাড়ের ব্যথায় কষ্ট পেতে হয় ছোট থেকে বুড়ো সকলকেই। এ ছাড়া দীর্ঘক্ষণ একভাবে ঘাড় গুঁজে কাজ করলে ব্যথা হওয়া স্বাভাবিক।
তবে ঘাড়ের ব্যথা যে শুধু ফোন দেখে বা দীর্ঘক্ষণ ল্যাপটপে কাজ করলেই হতে পারে, এমনটা কিন্তু নয়। ভারী জিনিস তোলার সময়ে অসাবধানতায় ঘাড়ে চোট পেলেও ব্যথা হতে পারে। প্রথম অবস্থায় অগ্রাহ্য করলে ভোগান্তির মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
তাই ঘাড়ের ব্যথা সহ্য না করে কেন হচ্ছে, আগে তার উৎস খুঁজে বের করা প্রয়োজন। চলুন দেখে নেই আর কি কি কারণে হতে পারে ঘাড় ব্যথা।
১. অতিরিক্ত পরিশ্রম
অফিসের কাজে কি পরিশ্রম অতিরিক্ত হচ্ছে? তাহলেও কিন্তু ঘাড়ে ব্যথা হতে পারে। একই রকম ভাবে একদিনে বাড়ির সমস্ত কাজ করতে গেলেও ঘাড়ের পেশির উপর চাপ পড়তে পারে। বিরতি না নিয়ে একটানা অনেকক্ষণ গাড়ি চালালেও কিন্তু ঘাড়ের পেশির উপর চাপ পড়ে। ফলস্বরূপ শুরু হয় ব্যথা।
২. ভুল ভঙ্গি
যোগাসন, জিমে গিয়ে ভুল শরীরচর্চা কিংবা শোয়ার ভুলেও ঘাড়ে চোট লাগতে পারে। যা থেকে ঘাড়ের ব্যথা দীর্ঘায়িত হয়। দীর্ঘ দিন একই ভাবে কাঁধে ভারী ব্যাগের বোঝা নিলেও কিন্তু ঘাড়ের পেশিতে চোট লাগতে পারে।
৩. পুরনো ক্ষত
এবড়ো খেবড়ো রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময়ে হঠাৎ ঝাঁকুনিতে বা দুর্ঘটনায় ঘাড়ে চোট লেগে থাকলে সেই ব্যথাই ঘুরে ফিরে আসতে পারে বার বার। সেই দিকেও খেয়াল রাখা জরুরি।
৪) আর্থ্রাইটিস
বাতের নাম শুনলে প্রথম হাঁটু, কোমরের কথাই মাথায় আসে। তবে ঘাড়ের ভার্টিব্রাল অস্থিসন্ধিতেও কিন্তু আর্থ্রাইটিস হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ও ঘাড়ে কষ্টদায়ক ব্যথা হয়।
৫) মানসিক চাপ
মানসিক চাপের সঙ্গে মাথা এবং ঘাড়ের সম্পর্ক রয়েছে। চিকিৎসকেরা বলেন, উদ্বেগ, মানসিক চাপ, অবসাদের মতো ঘটনাও কিন্তু ঘাড়ের পেশির উপর চাপ ফেলে। রক্তচাপ বেড়ে গেলেও কাঁধে, ঘাড়ে কষ্ট হতে পারে। তাই মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারলে ঘাড়ের যন্ত্রণা দীর্ঘায়িত হয়।
https://www.deshrupantor.com/470630