যুক্তরাষ্ট্রে আরও সশস্ত্র বিক্ষোভের হুঁশিয়ারি : এফবিআই

: নুরুল করিম রাসেল
প্রকাশ: ৪ years ago

টেকনাফ টুডে ডেস্ক : প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত জো বাইডেন শপথ নেয়ার আগেই যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন শহরে আরও সশস্ত্র প্রতিবাদের হুঁশিয়ারি দিয়েছে এফবিআই। তাদের রিপোর্টে বলা হয়েছে, আগামী ২০ শে জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিচ্ছেন জো বাইডেন। কিন্তু তার আগেই রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি এবং! ৫০ টি রাজ্যের সবটার রাজধানীতে সশস্ত্র বিক্ষোভের পরিকল্পনা করেছে ট্রাম্পপন্থিরা। এমনিতেই প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। তার ওপর আরও হামলার আশঙ্কায় নিরাপত্তা আরো কঠোর করা হয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
সোমবার বাইডেন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তিনি ক্যাপিটলের বাইরে শপথ নিতে মোটেও ভীত নন। তিনি এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত কমালা হ্যারিস এখনও ওই ভবনের বাইরে শপথ নেয়ার আশা করছেন।
নিরাপত্তা বিষয়ক কর্মকর্তারা বলেছেন, ৬ই জানুয়ারি যে অনাকঙ্খিত ঘটনা ঘটে গেছে ক্যাপিটল হিলে, তা আর হতে দেয়া হবে না। ওইদিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকরা নিরাপত্তা বেষ্টনি ছিন্ন করে ক্যাপিটল হিলের ভিতরে প্রবেশ করে নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞে মেতে ওঠে। এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট হিসেবে খ্যাত ওই ভবনের ভিতরে ৩রা নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া নিয়ে আলোচনা চলছিল। এরপরে যা ঘটেছে তা এখন ইতিহাস।
নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বলেছেন, ২০ শে জানুয়ারি শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠান নিরাপদ করতে সেখানে ১৫০০০ ন্যাশনাল গার্ডের সেনা মোতায়েন করা হতে পারে। সোমবার দিনের শেষে ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গার ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মন্ত্রীপরিষদ বিষয়ক ক্যাবিনেট সেক্রেটারি হিসেবে পদত্যাগ করেছেন উলফ। এ নিয়ে এমন তিনজন পদত্যাগ করলেন। তারা হলেন বেটসি ডেভোস এবং ইলেইন চাও। কিন্তু মিস্টার উলফের পদত্যাগ তার মন্ত্রণালয়ে টালমাটাল করে তুলবে। কারণ, তারাই বাইডেনের শপথ অনুষ্ঠানে নিরাপত্তার বিষয়টি দেখাশোনা করছিলেন। এখানে উল্লেখ্য, ক্যাপিটল হিলে বিক্ষোভকারীদের তা-বলীলার কড়া নিন্দা জানাতে গত সপ্তাহে তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন। বলেছিলেন, এ ঘটনায় কড়া নিন্দা জানাতে হবে। বিদায়ী উলফ বলেছেন, সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার কারণে তিনি বিদায় নিচ্ছেন। তার মধ্যে অন্যতম হলো, তাকে নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দেয়া কোর্টের রুলিং অন্যতম।
ওদিকে সম্ভাব্য সহিংসতা রোধে দেশজুড়ে কড়া নিরাপত্তা নেয়া হয়েছে। ট্রাম্পপন্থি পোস্ট এবং অনলাইনে উগ্র ডানপন্থি নেটওয়ার্কগুলো বাইডেনের শপথের আগেই বেশ একটি তারিখ নির্ধারণ করেছে বিক্ষোভের জন্য। সেটা হলো ১৭ই জানুয়ারি। এদিন দেশজুড়ে এবং ওয়াশিংটন ডিসিতে বিক্ষোভ করবে তারা। এফবিআইয়ের আভ্যন্তরীন এক বুলেটিনে বলা হয়েছে, যদি আগেভাগে ট্রাম্পকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়া হয় তাহলে তারা রাজ্য, স্থানীয় পর্যায়ে এবং ফেডারেল কোর্টহাউজগুলোতে ক্যাপিটল হিল স্টাইলে ঢুকে পড়তে পারে। অন্যদিকে ট্রাম্পকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে, অথবা তার পদত্যাগ দাবি জোরালো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিশংসনের পক্ষে দাবি জোরালো হয়েছে ডেমোক্রেট ও কিছু রিপাবলিকানের সমর্থন। ফেডারেল আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে কোর্টহাউজে নিরাপত্তা বাড়াতে স্থানীয় পুলিশি এজেন্সিগুলোকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ফেডারেল আইন প্রয়োগকারী এক কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলেছে, আগামী ১৬ থেকে ২০ শে জানুয়ারি থেকে সব রাজ্যের রাজধানী এবং কেন্দ্রীয় রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে শপথ গ্রহণের কমপক্ষে তিনদিন আগে থেকে নিরাপত্তা জোরালো করতে হবে।