টেকনাফ টুডে ডেস্ক : ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে তৃতীয়টি হচ্ছে জাকাত। ইমানের পর নামাজ ও তার পরই জাকাতের স্থান। কোরআন মজিদের ৩২ জায়গায় জাকাতের কথা বলা হয়েছে। তার মধ্যে ২৮ জায়গায় নামাজ ও জাকাতের কথা একত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
যাদের জাকাত দেওয়া যাবে না
এক. কাফির।
দুই. নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক।
তিন. নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিকের নাবালক সন্তান।
চার. বনু হাশেমের লোক।
পাঁচ. মা, বাবা, দাদা, দাদি, নানা, নানি একইভাবে যত ওপরের স্তরের দিকের কাউকে জাকাত দেওয়া যাবে না। অর্থাৎ যাদের মাধ্যমে দুনিয়ায় এসেছে, তাদেরসহ ওপরের স্তরের কাউকে জাকাত দেওয়া যাবে না।
ছয়. নিজের মাধ্যমে যারা দুনিয়ায় এসেছে, অর্থাৎ ছেলেমেয়ে ও তাদের সন্তানাদি একইভাবে তাদের সন্তানদের জাকাত দেওয়া যাবে না।
সাত. স্ত্রী ও স্বামী একে অন্যকে জাকাত দিতে পারবে না।
আট. মসজিদ-মাদ্রাসা, পুল, রাস্তা, হাসপাতাল বানানোর কাজে ও মৃতের দাফনের কাজে জাকাতের টাকা দেওয়া যাবে না। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ১/১৮৮,১৮৯; তাতারখানিয়া : ৩/২০৬; আদদুররুল মুখতার : ৩/২৯৪,২৯৫)
আত্মীয়স্বজনকে জাকাত দেওয়ার বিধান
সহোদর ভাই-বোন, ফুফু-ফুফা, খালা-খালু, মামা-মামি যেহেতু উশুল বা ফুরু অর্থাৎ জাকাতদাতার মূল বা শাখা নয়। তাই তাদের জাকাত দেওয়া যাবে, যদি তারা জাকাত গ্রহণের উপযোগী হয়। এমনিভাবে জাকাতের টাকা দিয়ে কাপড় কিনে দিলেও জাকাত আদায় হয়ে যাবে। অন্তরে জাকাতের নিয়ত রেখে মুখে তা উল্লেখ না করে দিয়ে দিলেও জাকাত আদায় হয়ে যাবে। (হিদায়া : ১/২০৬, বাদায়ে : ২/৪৯)
জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করার বিধান
জাকাতের অর্থ শুধু গরিবদের ব্যক্তি মালিকানায় দিয়ে দিলেই জাকাত আদায় হয়। সুতরাং মসজিদ, হাসপাতাল, রাস্তাঘাট, কালভার্ট ও হাসপাতাল নির্মাণের ক্ষেত্রে জাকাতের অর্থ খরচ করা যাবে না। কারণ এসব ক্ষেত্রে জাকাতের অর্থ ব্যয় করে ব্যক্তিবিশেষকে মালিক বানিয়ে দেওয়া হয় না। (তাতারখানিয়া : ৩/১৯৮,২০৮; দুররুল মুখতার : ৩/১৭১-১৭৩)
