ডেস্ক নিউজ :
মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, সাবেক ছাত্রনেতা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী আজ। ২০১৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর তিনি ৬৫ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন। পরের দিন ১৮ ডিসেম্বর তাকেঁ টেকনাফ পৌর বড় কবরস্থানে শায়িত করা হয়। তিনি টেকনাফ কুলাল পাড়া নিবাসী, বৃহত্তর টেকনাফ সদর ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার মরহুম সাইফুল মুল্লুক চৌধুরীর বড় সন্তান।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে টেকনাফ থানা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এ সময় ছাত্রনেতা মো: কামাল, সেলিম উল্লাহ, আব্দুর রহমান, রফিকুল কাদেরসহ অন্যান্য সাথে নিয়ে টেকনফে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে জনমত তৈরী করতে সক্ষম হন। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য খাদ্য, রসদ- গোলাবারুদ সংগ্রহ এবং তা সরবরাহ করতেন। পাকিস্থানীদের তীব্রতা বেড়ে গেলে কিছু দিন মিয়ানমারে গিয়ে আশ্রয় নিতেন। পরে এলাকায় ফিরে আসতেন দায়িত্বের খাতিরে।
মুক্তিযুদ্ধের সূচনা লগ্নে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী তৎকালীন এমএনএ এডভোকেট নুর আহমদের উপস্থিতিতে এক বিশাল জনসভায় টেকনাফ থানায় থাকা পাকিস্থানী পতাকা নামিয়ে মানচিত্র খচিত স্বাাধীন বাংলার জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে অসীম সাহসের পরিচয় দেন। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের সেই মাহেন্দ্রক্ষনে সকাল ১০ টায় টেকনাফ ডাক বাংলা কুলাল পাড়া মোড় হতে ঠেলা গাড়ীতে নৌকা উঠিয়ে সেই নৌকায় মাঝি সেজে দাড়ঁ নিয়ে একটি জীপ গাড়ী দিয়ে টেনে টেনে স্বাধীন বাংলার প্রথম মিছিলটিও সবার নজর কেড়েছিলো সেই দিন। মুক্তিযোদ্ধ চলাকালীন শুরুর দিকে টেকনাফ শহরে ছাত্রলীগের প্রতিটি মিছিল সমাবেশের মধ্যমনি থাকতেন জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর পড়ালেখার পাশাপাশি দেশ গড়ার কাজে আত্বনিয়োগ করেন তিনি। কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যার পর তিনি ১৯৭৭ সালে সৌদি আরব পাড়ি জমান । ১৯৮৮ সালের দিকে দেশে এসে আওয়ামীলীগকে সংগঠিত করার চেষ্টা করেন । ওই সময় তিনি উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ছিলেন।
১৮ ডিসেম্বর দোয়া মাহফিল এদিকে তারঁ প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ১৮ ডিসেম্বর বুধবার ১২ টার সময় টেকনাফ পৌর সভাস্থ নিজ বাড়ীতে খতমে কোরআন, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এতে মরহুমের সহকর্মী, বন্ধু বান্ধব আত্বীয় স্বজনসহ সকলকে অংশ নেওয়ার জন্য অনুরুধ জানিয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর ছোট ভাই টেকনাফ পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও টেকনাফ প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি জাবেদ ইকবাল চৌধুরী ।