মিয়ানমার হতে প্রচুর পেয়াঁজ আমদানি হলেও অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে টেকনাফের বাজার সমূহে প্রভাব পড়েনি

লেখক: নুরুল করিম রাসেল
প্রকাশ: ৫ years ago

মোঃ আশেক উল্লাহ ফারুকী : টেকনাফ স্থল বন্দর দিয়ে পার্শ্ববর্তীদেশ মিয়ানমারের আকিয়াব (সিটিওয়ে) থেকে প্রচুর পরিমান পেয়াঁজ আমদানি হলেও টেকনাফ সীমান্তবর্তী পৌর শহরসহ প্রধান প্রধান বাজার সমূহে পেয়াঁজের বাজার আগুন । মিয়ানমার থেকে আমদানিকৃত পেয়াঁজ স্থলবন্দর থেকে ট্রাক বোঝাই করে সরাসরী ঢাকা ও চট্টগ্রাম চলে যাচ্ছে । এ পেয়াঁজ স্থানীয় সীমান্তবর্তী বাজারে প্রভাব পড়েনী । আমদানিকৃত পেয়াঁজ যেন ঢাকা ও চট্টগ্রাম হয়ে টেকনাফে চলে আসার কারণে স্থানীয় বাজার সমূহে ৮০ থেকে ৭০ টাকা দরে ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত পেয়াঁজ আমদানি বন্ধ করার পর দেশের পেয়াঁজের সংকট এবং দাম বৃদ্ধি পায় । পেয়াঁজের সংকট মোকাবেলা এবং চাহিদা মেটাতে টেকনাফ স্থল বন্দর শীর্ষ আমদানি কারক মিয়ানমার থেকে পেয়াঁজ আমদানি শুরু করে । প্রতি দিন ট্রলার ও কার্গোযোগে পেয়াঁজ স্থলবন্দরে খালাস হচ্ছে । সমপ্রতি পেয়াঁজে সংকট নিরসন এবং মূল্য নির্ধারণ কল্পে জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে একটি উচ্চ প্রদস্থ কর্মকর্তা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় সাংসদসহ টেকনাফ স্থলবন্দর পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে স্থল বন্দর ব্যবহারকারী আমদানিকারকদের নিয়ে বৈঠক বসেন এবং প্রতি কেজি ৫০ টাকার উপরে পেয়াঁজ বিক্রি না করতে ব্যবসায়ীদের প্রতি কঠোর নির্দেশ দেন । মিয়ানমার থেকে আমদানিকৃত পেয়াঁজ স্থলবন্দরে পৌছার পর যাবতীয় খরচ বাদ দিয়ে প্রতি কেজি পেয়াঁজের দাম পড়ে ৪৩ টাকা। কেরুনতলী স্থল বন্দর থেকে টেকনাফ পৌর শহর বাজারে দুরত্ব মাত্র ৬ কিলোমিটার হলেও স্থানীয় বাজার সমূহে এ পেয়াঁজ বাজারে প্রায় দোকানে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৭০ টাকা। টেকনাফ পৌর শহরের বাজার ও বিভিন্ন দোকান পরিদর্শন এ তথ্য জানা যায় । স্থানীয় বাজারের অসাধু ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি, ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট এবং প্রশাসনের বাজার মনিটরিং ও ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা কার্যক্রম না থাকায় ব্যবসায়ীরা এ সুযোগে ভোক্তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত দামে পেঁয়াজ বিক্রির নামে হাতিয়ে নিচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। ভোক্তাদের অভিযোগ টেকনাফ স্থল বন্দর দিয়ে মিয়ানমার থেকে প্রচুর পরিমান আমদানি হলেও টেকনাফ এর অন্ধকারে রয়েছে। এ পেঁয়াজ স্থানীয় বাজার সমূহে তেমন প্রভাব না পড়ায় ব্যবসায়ীরা ভোক্তাদের জিম্মি করে নীরবে হাতিয়ে নিচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। টেকনাফ স্থল বন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা আবছার উদ্দীন বলেন, সেপ্টেম্বর মাসে তিন হাজার ৩৫৭০ মেঃ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। মংডু এবং আকিয়াবে পেঁয়াজ ভর্তি আরো বেশ কয়েকটি ট্রলার আসার পথে রয়েছে। যে হারে পেঁয়াজ আসছে, তাতে সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির কোন কারণ নেই। টেকনাফ স্থল বন্দর সিএন্ডএফ এসোসিয়শনের সাধারণ সম্পাদক ও কাউন্সিলর এহেতেশামুল হক বাহাদুর বলেন, মিয়ানমার থেকে প্রতি টন ৫শত ডলারে আমদানি হচ্ছে। খরচসহ প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম পরে ৪৩ টাকা। বাজারে পেঁয়াজের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসার লক্ষ্যে মিয়ানমার থেকে প্রচুরপরিমাণ পেঁয়াজ আমদানী প্রক্রিয়া চালু রয়েছে। স্থল বন্দরের শীর্ষ আমদানী কারক আলহাজ্ব মোঃ হাশেম বলেন, ভোক্তাদের চাহিদা মেটাতে মিয়ানমার থেকে প্রচুর পেঁয়াজ আমদানী হচ্ছে। অপর দিকে ইউনাইটেড লেন্ড পোর্টের জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) বলেন, পেঁয়াজ একটি পঁচনশীল দ্রব্য। বন্দর কর্তৃপক্ষ দিবারাত্রি পেঁয়াজ খালাসের ব্যস্ত জীবন কাটাচ্ছে। অক্টোবরের ৭ দিনে ৩ হাজার ৬ মেঃ টন পেঁয়াজ ডেলিভারী হয়েছে এবং আরও ১২ শত মেঃ টন ডেলিভারীর অপেক্ষায় রয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ৬০ পেঁয়াজ বোঝায় ট্রাক বাজার জাত করা হচ্ছে। পেঁয়াজের কোন ট্রেক্স নেই।