প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
সেবা ও মানবতা বোধ জাগ্রত করে বিবেক, মানুষের কল্যাণে উজ্জীবিত হোক আবেগ” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে কক্সবাজারের টেকনাফে ১০১ জন মানসিক রোগীদের খাবার ও শীতবস্ত্র বিতরণের মধ্য দিয়ে মানসিক রোগীদের তহবিল (মারোত) এর ৪র্থ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও বনভোজন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার দুপুরে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের সাবরাং জিরো পয়েন্ট এলাকায় এ উপলক্ষে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংগঠনের সভাপতি আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে মারোতের প্রধান উপদেষ্টা টেকনাফ সরকারি কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সন্তোষ কুমার শীলের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ টিটু চন্দ্র শীল, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সিফাত বিন রহমান, মেডিকেল অফিসার ডাঃ প্রণয় রুদ্র, চ্যানেল ২৪ জেলা প্রতিনিধি নুফা আলম, কক্সবাজার থেকে প্রকাশিত দৈনিক দৈনন্দিন পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক শফিউল আলম দৈনিক প্রথম আলোর টেকনাফ প্রতিনিধি গিয়াস উদ্দিন, অনলাইন নাফ টিভির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সেলিম, দৈনিক যায় যায় দিন প্রতিনিধি আরাফাত সানি, দৈনিক কক্সবাজার প্রতিনিধি জসিম মাহমুদ, টেকনাফ পিএমএ চেয়ারম্যান শাহ আলম, উপদেষ্টা সাইফুল হাকিম,শাহপরীরদ্বিপ ইউনিটের শংকর শর্মা, ব্যাংক এশিয়া ম্যানেজার হারুনর রশীদ , বাতিঘর সভাপতি হারুন অর রশিদ, আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল আমিন প্রমূখ।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন যদু চন্দ্র দাশ, লক্ষ্মণ চন্দ্র দাশ, সজল ধর, রুপন ধর, খোকন পাল, অমল দাশ, মার মারোত সহসভাপতি ঝুন্টু বড়ুয়া, সেক্রেটারি রাজু পাল, জয়েন্ট সেক্রেটারি মোবারক হোসেন ভুইয়া , সাংগঠনিক সম্পাদক মিরাস উদ্দিন, অর্থ সম্পাদক আজিম উদ্দিন, আইটি সম্পাদক মোহাম্মদ হোসাইন আমিরী, বস্ত্র সম্পাদক এমাদুল করিম রনি, পল্লী চিকিৎসক রুপন শর্মা, আয়ুব আলী, একরাম, হারুনুর রশীদ, মোহাম্মদ খোরশেদ, নুরুল ইসলাম, সরোয়ার কামাল, নাচির উল্লাহ, মোহাম্মদ এহসান,মোহাম্মদ আমিন, নুরুল হক প্রমুখ।
মানসিক রোগীদের তহবিল (মারোত)এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ২০১৭ সালের ১৬ জানুয়ারি। টেকনাফ উপজেলায় কর্মরত কিছু ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি চিকিৎসক শিক্ষক ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা মিলিয়ে সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। তখন থেকে ২০জন সদস্যের আর্থিক অনুদানের মাধ্যমে এ সংগঠনটি প্ররিচালিত হয়ে আসছে। এরপর থেকে সংগঠনের সদস্যরা মানসিক রোগীদের নিয়ে বিভিন্ন ধরনের কাজকর্ম করে আসছেন। অসহায় এসব মানুষকে চিকিৎসা সেবা, শীতবস্ত্রের পাশাপাশি সৎকার ও দাফনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অসহায়দের যত্নআত্তি ছাড়াও হারিয়ে যাওয়া মানুষকে পৌঁছে দেন পরিবারের কাছে। অন্যদিকে, বিশ্বব্যাপী যখন কোভিড-১৯ সংক্রমণে একের পর এক রাষ্ট্র যখন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ঠিক তখনই টেকনাফে এসব মানসিক রোগীদের কথা বিবেচনা করে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ থেকে ১৭৮ দিন খাবার বিতরণ করে আসছে।
ইউএনও মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, সংগঠনটি এ পর্যন্ত সারাদেশে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া (মানসিক রোগী) ২৮জন নারী-পুরুষকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এটি অত্যন্ত আনন্দদায়ক। এ রকম আর কোনো সংগঠন প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় গড়ে তুলতে পারলে মানবতার বোধ জাগ্রত হবে। তখন সমাজে আর কোনো ধরনের মানুষ অবহেলিত থাকবে না। মানসিক রোগীদের জন্য টেকনাফে একটি হাসপাতাল নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।