শামীম ইকবাল চৌধুরী : বান্দরবানে শ্লীলতাহানি ও হামলার অভিযোগে হওয়া মামলায় চার্জ গঠন হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্র্যাবুনালে মামলার চার্জ গঠনের পর ওই মামলাটি তুলে নিতে আসামীপক্ষ হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আসামীপক্ষের অব্যাহত হুমকিতে ওই শিক্ষিকা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এই ঘটনায় মামলার বাদীর পিতা রশিদ আহমদ মেয়ের নিরাপত্তা চেয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগকারীর মেয়ে প্রাইমারী শিক্ষিকা আলমাছ খাতুন জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দক্ষিণ ছাগলখাইয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কর্মরত থাকাকালীন ২০১৮সালের ৯আগষ্ট ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম শ্লীলতাহানি ও মারধর করে। এই ঘটনায় গত বছর ৩০ আগষ্ট বান্দরবান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্র্যাইবুনালে একটি মামলা দায়ের করেন স্কুল শিক্ষিকা আলমাছ খাতুন।
বাদী পক্ষের আইনজীবি ম্যা মা চিং মারমা জানান- শিক্ষিকার দায়ের করা মামলাটি আদালত সম্প্রতি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ১০ ধারায় বিচার কার্যের জন্য চার্জ গঠন করেছেন।
আবেদনকারী আলহাজ্ব রশিদ আহমদ জানান- নুরুল ইসলাম একজন খারাপ চরিত্রের লোক। সে বর্তমানে নারী ও শিশু মামলা নং- ৭৮/১৮, (পিটিশন মামলা নং-৪৬/১৮), জিআর ১৭২/১৬ (রামু), জিআর ১৭৪/১৬ (রামু), জিআর ১৭৫ (রামু), সিআর ১১৩/১৬ (রামু), সিআর ১১৪/১৬ (রামু) অসংখ্য মামলায় এজাহার ও চার্জশীট ভুক্ত আসামী। আর কত অভিযোগে অভিযুক্ত হলে এমন বির্তকিত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে সেই প্রশ্ন তোলেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাছে।
সহকারী শিক্ষিকা আলমাছ খাতুন জানান- মামলা রুজুর পর থেকে নুরুল ইসলাম এখনো আদালত থেকে মামলা তুলে নিতে হুমকি এবং বিচারিক কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্থ করার চেষ্টা করছে। পাশপাশি আমার বিরুদ্ধে মানহানিকর অপপ্রচারসহ ভয়ভীতি প্রদর্শণ করছে। যার কারনে ভীত ও নিরাপত্তাহীনতায় জীবন যাপন করছি। লোক লজ্জার ভয়ে চলাফেরায় বাধা নহ নানাবিধ মানহানিকর সমস্যায় ভোগছেন বলে যোগ করেন এই নারী শিক্ষিকা।
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম এর ব্যবহৃত ০১৮২৪-৮২৯৫৭৬ নাম্বারে বুধবার একাধিকবার চেষ্টা করেও তাঁর ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।