মানসিক রোগিকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করলো সেচ্ছাসেবী সংগঠন মারোত

লেখক: নুরুল করিম রাসেল
প্রকাশ: ৫ years ago

নিজস্ব সংবাদদাতা: দীর্ঘদিন পর ফারুক তার স্নেহময়ী মা কে খুঁজে পেয়প আনন্দে আত্মহারা। পটিয়ার চক্রশালায় ফারুকদের বাড়ি। চার ভাইবোনের মধ্যে সেই বড়। ঘরে বাবাও মাদুর। দীর্ঘদিন যাবত তার মা ছিলো মানসিক রোগি। মায়ের কোলে দুই বছরের দুধের শিশু তার রয়েছে। ১১ মাস আগে সেই দুধের শিশুকে ফেলে কখন যে ঘর থেকে বেরিয়ে যায় ফারুকের মা হালিমা। বিভিন্ন পথ অতিক্রম করে হালিমা যখন টেকনাফ নোয়াপাড়া বাজারে ঘোরাঘুরি করছে ঠিক তখনই নজরে আসে মানসিক রোগিদের তহবিল (মারোত) টেকনাফ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি বাবু ঝুন্টু বড়ুয়ার। নাম ঠিকানা জেনে তিনি ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার পরিপ্রেক্ষিতে হালিমার ছেলে ফারুকের সাথে যোগাযোগ হয় ঝুন্টু বাবুর। ঝুন্টু বড়ুয়ার আহ্বানে ফারুক চলে আসে টেকনাফের নোয়াপাড়ায়। গভীর রাত হয়ে যাওয়ায় নোয়াপাড়া বাজারের চায়ের দোকানের বেঞ্চে রাত্রিযাপন করে পরেরদিন সকাল বেলা দেখা হয় ঝুন্টু বাবুর সাথে।ফারুক আসার আগে এই ফাঁকে হালিমা আবার উদাও হয়ে যায়। ফারুক কে তিন দিন টেকনাফ রেখে হালিমাকে খুজতে থাকে মারোতের কর্মিরা। অবশেষে খুঁজে না পেয়ে চলেগেলো ফারুক। ফারুক যাওয়ার পরপর সন্ধ্যাবেলা হালিমাকে পেয়ে যায় মারোতের কর্মিরা। আবার হালিমার ছেলেকে খবর দিয়ে এনে আজ রবিবার হালিমাকে তার বড় ছেলে ফারুক (১৮) এর কাছে আনুষ্ঠানিক হস্তান্তর করা হয়। এ উপলক্ষে এক সমাবেশ টেকনাফ হাকিম আলি মার্কেটে সংগঠন এর সভাপতি আবু সুফিয়ান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মারোত প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক সন্তোষ কুমার শীল, উপদেষ্টা সাইফুল হাকিম, সহসভাপতি ঝুন্টু বড়ুয়া, সেক্রেটারি রাজু পাল, জয়েন্ট সেক্রেটারি মোবারক হোসাইন ভুইয়া, আইটি সম্পাদক মোহাম্মদ হোসাইন আমিরী, সমাজকর্মী ছমুদা বেগম, কামাল হোসেন, মোশাররফ হোসেন, মুন্না প্রমুখ। পরে পবিত্র আশুরা উপলক্ষে ৯৭ ব্যাচ এর উদ্যোগে ফেরদৌস ফার্নিচার এর সৌজন্য মারোত এর ১১৭ তম দিনের খাবার বিতরণ করা হয়।