আজিজ উল্লাহ : কথিত মানবাধিকার কর্মী এএনএম কামরুজ্জামান লিটন নামের এক প্রতারক মানব পাচারকারী চক্রের খপ্পরে পড়ে ১ লাখ ৮৩ হাজার টাকা হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে মালয়েশিয়া প্রবাসী টেকনাফ সাবরাং ইউনিয়নের স্থানীয় মৃত বশির আহমেদের পুত্র হেলাল উদ্দিন রুমেলের (২৫) পরিবার।
এর আগে প্রতারক কামরুজ্জামান রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশী পাসপোর্ট করে দিয়ে মালয়েশিয়া পাঠিয়েছে।মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশী পাসপোর্ট নিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গাদের সাথে প্রতারণার শিকার হেলাল একসাথে কাজ করার সময় কিভাবে মালয়েশিয়া গেছে জানতে চাইলে কামরুজ্জামানের মাধ্যমে গেছে বলে জানায় কতিপয় রোহিঙ্গা,তখন হেলাল তার স্ত্রীকে ভ্রমণ ভিসা নিয়ে মালয়েশিয়াতে নিতে কামরুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করে সেই নিজেকে আলিফ এন্টারপ্রাইজ নামে এক এজেন্সির মালিক বলে পরিচয় দেয়।
তারপর তার থেকে ভ্রমণ ভিসাসহ প্রসেসিং করে দিতে লেনদেন করে সেই একপর্যায়ে একটা ভ্রমণ ভিসার কপি দিয়ে বিশ্বাসের জায়গা করে নেয় এর কয়েকদিন পর স্ত্রীর পাসপোর্ট পাঠিয়ে দেয় তার কাছে এর কিছু দিন পর মোটা দাগের টাকা নেওয়া শেষে বিমানের টিকেটও দেয় প্রতারক কামরুজ্জামান আসলে সে ভিসা এবং টিকেট দুটাই যে ভূয়াই ছিল যেদিন ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন করার জন্য বলে ৪০ হাজার টাকা নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর মোবাইল বন্ধ রাখার পরে। এতদিন কৌশলে ধাপে ধাপে ১লাখ ৮৩ হাজারেরধিক হাতি নেয় প্রতারক চক্র।শেষ পর্যন্ত ভিসা আর টিকেট অনলাইনে চেকিং করার পরে দেখা যায় অনলাইনে নেই তখন আকশে ভেঙে যেন মাথায় পড়ছে বলে মনে হয় ঢাকা বিমানবন্দরের প্রাঙ্গনই যেন মালয়েশিয়া, অবশেষে ঢাকা থেকে এক বুক কষ্ট নিয়ে চোখের জলে স্ত্রী কক্সবাজার ফিরে এসেছে সেই সব কাগজ পত্রই ছিল এডিট করা টিকেট আর ভিসাসহ।
এর মধ্যে প্রতারক ভিসা বাবদ ১লাখ ৮৩ টাকা ধাপে ধাপে ব্যাক ব্যাংকের একাউন্ট আর মোবাইলে কয়েকটি বিকাশ নং এর মাধ্যমে। মালয়েশিয়া থেকে আলিফ এন্টারপ্রাইজ নামে ব্রাক ব্যাংকের a/c1518202903309001একাউন্ট নং এ গত ১৬/১/১৯ ইং তারিখে ৪৭০০০ টাকা পরের দিন ১৭/১০/১৯ ইং একাই একাউন্টে নং ৩০০০০ টাকা পাঠিয়েছে। তারপর কয়েকটি বিকাশ নং
৩০-৯-১৯ ইং 01861224477-১০০০০ টাকা, ৩-১০-১৯ ইং 01861224477-২০০০০ টাকা, ২১-১০-১৯ ইং 01861224477-১০২০০ টাকা, ২১-১০-১৯ ইং 01955558575-২০২০০ টাকা, ২৩-১০-১৯ ইং 01861224477 ৩০৬০ টাকাসহ 01746239658 নাম্বার টি তাদের পার্টনার বলে পাসপোর্ট টিকেটসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হাতে দিয়ে ক্যাশ 43000 টাকা নিয়েছিল প্রতারণার শিকারের হেলালের ছোট ভাইয়ের কাছ।টাকা নিয়ে চলে যাওয়ার পরে ইমিগ্রেশনের জন্য হেলালের স্ত্রীকে অপেক্ষা করতে বলে মোবাইল বন্ধ করে পেলে আর তাদের সাথে যোগাযোগ করা যায়নি সেখানে টিকিট ভিসা সব ভূয়া ছিল পরে চেকিং করে জানতে পারে।
এদিকে অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতিবেদক,উল্লেখিত এই 01746239658 নম্বরে যোগাযোগ করলে, সেই বলে মাহফিলে রয়েছে,বারবার চেষ্টা করার পর অবশেষে কল ধরে সেই নিজেকে রনি বলে পরিচয় দেয়। প্রতারণার বিষয়ে জানতে চাইলে মোবাইল কেটে দিয়ে ব্লক লিষ্টে ঢুকিয়ে দেয় তারপর আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।এদিকে এই নং এর +8801788688000 মাধ্যমে কামরুজ্জামান লিটন প্রায় সময় যোগাযোগ করছিল।
প্রবাসী প্রতারণার শিকার হেলাল উদ্দিন রুমেল বলেন, তার মত ভবিষ্যতে আর কেহ যেন এই রকম প্রতারক কামরুজ্জামানের মত চক্র খপ্পরে পড়ে দীর্ঘদিনের ঘামে ভেজা রক্তচোষা হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রমের কষ্টের টাকা হারিয়ে নিঃস্ব না হয় সেই জন্য এই প্রতারক চক্রদের খোঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন এবং প্রশাসনসহ বিশেষ করে গোয়েন্দা সংস্থার সহযোগিতা চান উল্লেখ্য ব্রাক একাউন্ট নং আর মোবাইল নম্বর গুলোর যাচাই-বাছাই করলে বের হয়ে আসবে প্রতারকদের আসল পরিচয়।সেই দেশে আসলে তার কাছে থাকা ডকুমেন্টস নিয়ে গোয়েন্দা বিভাগে অভিযোগ করলে বলেও জানিয়েছেন। আর প্রতারক কামরুজ্জামান ফেনি কিংবা সিতাকুন্ডের উপজেলার বলে জানান, বর্তমান রাজধানীর শনির আখাড়া কোন জায়গায় থাকেন বলেও জানান।