মাদক কারবারে অবৈধ সম্পদ অর্জন : টেকনাফের শামসুল আলম ও মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

: নুরুল করিম রাসেল
প্রকাশ: ১ বছর আগে

নিজস্ব প্রতিনিধি :

কক্সবাজারের টেকনাফের শামসুল আলম (৪১) ও সাবেক মেম্বার মাহমুদুর রহমানের (৫৭) বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ইয়াবা কারবারে অর্জিত সম্পদের তথ্য গোপন করা এবং জ্ঞাত আয়ের উৎসে অসঙ্গতির অভিযোগে এ মামলা করা হয়।

শামসুল আলম টেকনাফের মিঠা পানিরছড়া লেঙ্গুরবিল গ্রামের বাসিন্দা হাজী গোলাম হোসেনের ছেলে ও সাবেক মেম্বার মাহমুদুর রহমান টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের দক্ষিণ নয়াপাড়া গ্রামের মৃত শেখ আহমদের ছেলে।

এজাহারনামীয়দের  বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে তদন্ত করছিল দুদক।

কক্সবাজারের দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক তুষার আহমেদ বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ইয়াবা কারবারের মাধ্যমে বিপুল অর্থ-সম্পদের মালিক বনে যাওয়ার এক অভিযোগ ২০১৭ সাল থেকে তদন্ত করে এ মামলাটি দায়ের করা হয়।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেন কক্সবাজারের দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন।

ইয়াবা কারবারি শামসুল আলম তার প্রদত্ত সম্পদবিবরণীতে স্ত্রী ও সন্তানের নামে মাত্র ২৩ লাখ ৮৬ হাজার ৪৬২ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য দিয়েছেন।

মামলার বাদী জানান, অভিযোগের তদন্তে শামসুল আলমের দেওয়া হিসাবের বাইরে আরও ৫১ লাখ ৬ হাজার ৩৫৬ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। যা ইয়াবা ব্যবসা করে অর্জন করা হয়েছে।

এজাহার থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, তেইশ লাখ ছিয়াশি হাজার চারশ’ বাষট্টি টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য অসদুদ্দেশ্যে গোপন রেখে মিথ্যা তথ্য প্রদান করা হয়। এ ছাড়া একান্ন লাখ ছয় হাজার তিনশ’ ছাপ্পান্ন টাকার সম্পদ জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ। এই সম্পদ ভোগ-দখল করায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪-এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় শামসুল আলমের বিরুদ্ধে মামলাটি রজু করা হয়েছে।

অপরদিক দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ সহকারী পরিচালক রয়েল হোসেন বাদী হয়ে গত ৭ নভেম্বর  (মামলা নং-০২) দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারায় মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে ৫কোটি ৩০ লক্ষ ৫৫হাজার ৯৫০টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপন করে মিথ্যা তথ্য দান সহ দুর্নীতি দমন আইনের অভিযোগে মামলা রুজু করা হয় ।

মাহমুদুর রহমান সাবরাং ইউনিয়নের দক্ষিণ নয়াপাড়া গ্রামের মৃত শেখ আহমদের ছেলে।

এমতাবস্থায়, আসামী মাহমুদুর রহমান (৫৭), পিতা-মৃত শেখ আহমদ, মাতা-রাশিদা বানু, সাং-নামানো, আ থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্স-২২১৯০৪৭৫০১ কর্তৃক এ উদ্দেশ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ৪,২১,৬৩,৯৫০/- (চার কেটি একুশ লক্ষ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য অসদুদ্দেশ্যে গোপনপূর্বক মিথ্যা তথ্য প্রদান করা এবং ৫.৩০.৫৫,৯৫৫/- (পাঁচ কোটি বিশ লক্ষ পঞ্চান হাজার নয়শত পঞ্চান্ন) টাকার স্থাবর ও অস্থলের সম্পদ তার আর আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণভাবে  ভোগ দখলের অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ার তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০০ এর ২৯(২) ৩ ২৭(১) ধার ৩১ মামলা রুজু করা হয়।