সংবাদ বিজ্ঞপ্তী : জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনিস্টিটিউটের মনোচিকিৎসক সহযোগি অধ্যাপক ডা: হেলাল আহমেদ বলেছেন, বর্তমান প্রেক্ষিতে দেশে মাদকাসক্তি চিকিৎসা সেবার মানউন্নয়নে আরো অনেক কিছু করার সুযোগ আছে, এর জন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। তিনি আরো বলেন, মাদকনির্ভরশীলদের চিকিৎসায় সমম্বিত প্রচেষ্টায় প্রয়োজন হয় এবং এই চিকিৎসার সাথে সম্পৃক্ত থাকতে হবে মনরোগ বিশেষজ্ঞসহ কাউন্সিলর, দক্ষ রিকভারী অর্থাৎ সুস্থ্যতা প্রাপ্ত মাদক নির্ভরশীল, পিয়ার কাউন্সিলর,
সোশ্যাল ওয়ার্কারসহ অন্যন্য ব্যক্তিবর্গের। মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের নেটওয়ার্ক সংযোগ ও নারকব এর উদ্যোগে সোমবার (১৮ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হল (প্রাক্তন ভি আই পি লাউঞ্জ)-এ ”বর্তমান প্রেক্ষিতে মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন শীর্ষক” এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সংযোগের উপদেষ্ট ড. পিটার হালদারের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠিত সভায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় মাদকাসক্তি
নিরাময় কেন্দ্রের সাবেক আবাসিক মনোচিকিৎসক ডা. আকতারুজ্জামান সেলিম, রিলাইফের পরিচালক বকুল ফ্রান্সিস কস্তা, সংযোগের সহসভাপতি শফিকুর রহমান
খোকন, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের পরিচালক এবং সংযোগ সভাপতি ইকবাল মাসুদ সভাটি সঞ্চলনা করেন।
উক্ত সভায় বক্তারা বলেন, দ্রুত চিকিৎসা বিধিমালা সংশোধনের প্রয়োজন এবং এইখাতকে অগ্রাধীকারের আওতায় নিয়ে চিকিৎসার মূলধারার সাথে সম্পৃক্ত করা
প্রয়োজন। কারন মাদকনির্ভরশীলদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন একটি জটিল বিষয়। মাদকনির্ভরশীলতার কারণে একজন ব্যক্তির শারীরিক, মানসিক, আচরন পরিবর্তন হয়ে থাকে যা কখনো কখনো একক ভাবে একজন চিকিৎসার মাধ্যমে ভালো করা সম্ভব হয় না।
বিশ্বের যে প্রান্তের মাদক নির্ভরশীলদের চিকিৎসার দিকে দৃষ্টি দেই না কেন, সেখানে দেখা যায় প্রতিটি মাদকনির্ভরশীল ব্যক্তিই ভিন্ন প্রকৃতির সমস্যা ও
জটিলতার মধ্য দিয়ে যায়। তাই চিকিৎসা রোগীর ধরণ অনুসারে ভিন্ন ভিন্ন হয়। একটা সমন্বিত দল মাদকনির্ভরশীলদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করে থাকে এবং সবার
প্রচেষ্টায় একজন মাদক নির্ভরশীল ব্যক্তিকে সুস্থ্য করে তোলা হয়। এই চিকিৎসায় পেশাজীবি সংকট এবং চিকিৎসা সম্পর্কে সঠিক প্রশিক্ষণ ও মানুষের
মাঝে নানা রকম ভুল ধারণার জন্য সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান সঠিক ভাবে চিকিৎসা প্রদানে সক্ষম হয় না। পাশাপাশি মাদক নির্ভরশীলদের চিকিৎসা ও
পুনর্বাসনকে সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করতে হবে।