টেকনাফ টুডে ডেস্ক : কক্সবাজারের মহেশখালীতে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করেছে র্যাব-১৫ এর সদস্যরা। এ সময় তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পাহাড়ের মাটিতে পুঁতে রাখা ১০ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়। র্যাবের দাবি আটক যুবকেরা চিহ্নিত সন্ত্রাসী।
মঙ্গলবার ভোরে মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের ছামিরাঘোনা পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটকেরা হলেন- মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়ার ছামিরাঘোনা এলাকার মৃত মনছুর আলম প্রকাশ রসু ডাকাতের ছেলে রফিকুল ইসলাম প্রকাশ মামুন (২৮), একই ইউনিয়নের চিকনী পাড়ার মনিরুল আলমের ছেলে মোহাম্মদ রিফাত (২৩) ও মৃত আব্দুল আলীর ছেলে আয়ুব আলী (৪০)। তারা সম্প্রতি আত্মসমর্পণকৃত জলদস্যু আলাউদ্দিন হত্যা মামলার আসামি।
র্যাব জানায়, গত ৫ নভেম্বর মহেশখালীর কালারমারছড়ায় আত্মসমর্পণকৃত জলদস্যু আলাউদ্দিনকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার ভাই ১৮ জনের নাম উল্লেখ্য করে ১৮ জনের নামে মামলা দায়ের করেন। তারপর থেকে একটি ছায়া তদন্ত শুরু করে র্যাব-১৫।
তদন্তে গিয়ে ২২ নভেম্বর বান্দরবানের লামারর ফাইতং থেকে হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা ও প্রধান আসামি রফিকুল ইসলাম মামুন, তার সহযোগী রিফাতকে আটক করা হয়।
তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে মামলার ১২ নম্বর আসামি আয়ুব আলীকে কক্সবাজার শহরের পাহাড়তলী এলাকা থেকে আটক করা হয়।
মূলত নিজেদের অপহরণ করা হয়েছে দাবি করে লুকিয়ে ছিলেন তারা। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে র্যাব জানতে পারে মহেশখালীর কালারমারছড়ার ছামিরা ঘোনা পাড়ের মাটি কুড়ে ৪টি এক নলা বন্দুক, একটি থ্রি কোয়াটার বন্দুক, ৩টি এলজি, ১টি বিদেশি পিস্তল, ১টি ম্যাগাজিন, ২ রাউন্ড তাজা গুলি ও ৫ রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করে।
একটি চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার রহস্য উন্মোচিত হওয়ার পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা শেষে তাদের মহেশখালী থানায় হস্তান্তর করা হবে।
কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল খায়রুল ইসলাম সরকার বলেন, কক্সবাজারে জেলায় মাদক ও সন্ত্রাস দমনে র্যাব-১৫ কাজ করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজকে এসব সন্ত্রাসী ও অস্ত্র গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।
সুত্র : দৈনিক দেশ রূপান্তর।