নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :
চকরিয়া উপজেলার পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নে ফ্রান্সে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র ও কার্টুন প্রদর্শনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার জুমার নামাজের পর পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়ন পরিষদের মাঠে শুদ্ধচার শুচি প্লাটফর্ম ফেসবুক গ্রুপের আয়োজনে ইউনিয়নের বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও ইসলামিক সংগঠনের উদ্যোগে এ বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি ইউনিয়ন পরিষদের মাঠ থেকে শুরু হয়ে গ্রামীণ জনপদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিন শেষে পুনরায় ইউনিয়ন পরিষদের মাঠে এসে প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়। প্লেকার্ড, ব্যানার, এবং প্রিয় নবীজির প্রতি ভালবাসা নিয়ে মুখে বিভিন্ন স্লোগান দেন নবী প্রেমী বিক্ষোভে অংশ গ্রহণকারী তৌহিদী জনতা।
বিক্ষোভ মিছিলে শত শত মুসলিম তৌহিদী জনতাকে সাথে নিয়ে একাত্বতা প্রকাশ করে অংশ নেন পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের কৃষকলীগের নবনির্বাচিত সভাপতি ও তরুণ সমাজ সেবক কামরুজ্জামান সোহেল। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বানিয়ার চর মাদ্রাসা ও পূর্ব বড় ভেওলা বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের আলেমগণ, পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়ন পরিষদের ৫নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য তালেব উল্লাহ, ৬নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য মো.ওসমান গণি, ছাত্রনেতা মো.আলাউদ্দিন লিটন, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. এমরানসহ এলাকার বিভিন্ন জামে মসজিদের ইমামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতা কর্মীরা।
বিক্ষোভ মিছিল উত্তর প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, প্রিয় নবী হয়রত মুহাম্মদ (সঃ) নিয়ে ফ্রান্স যে ধৃষ্টতা দেখিয়েছে মুসলমান হিসেবে আমরা তা কোনভাবেই মেনে নিতে পারি না। অতীতেও এ ধরনের ঘৃণ্য অপকর্ম তারা করেছে। এর প্রতিবাদ শুধু মুখে করলেই হবে না আমাদের লিখনীর মাধ্যমেও উপযুক্ত জবাব দিতে হবে।
প্রতিবাদ সমাবেশে সভায় বক্তারা মহানবীর (সাঃ) এর অবমাননাকারী ম্যাক্রোসহ শার্লি হেবদো পত্রিকা কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে ক্ষমা চাইতে বলেন। সেই সাথে যারা দেশের মধ্যেও নানা ভাবে ইসলাম, কোরআন ও মহানবী সম্পর্কে কুটুক্তি ও অবমাননাকর মন্তব্য করছেন তাদেরও বিচার দাবী করেন। সরকারের প্রতি ফ্রান্সের সকল পন্য নিষিদ্ধের ঘোষনা করার পাশাপাশি রাষ্ট্রীয়ভাবে ফ্রান্সের সরকারের প্রতি নিন্দা জানানোর দাবী জানিয়ে বলেন, বিশ্বে মুসলমানদের রক্তে আগুন লাগিয়েছে মহানবী (স:) কটুক্তি করে। অনতিবিলম্বে এ ঘৃন্য কাজ থেকে ফিরে এসে ক্ষমা প্রার্থনা না করলে আরও কঠোর আন্দোলনে হুশিয়ারি দেন তৌহিদী জনতা।
