ভোলায় স্কুলছাত্রী‌কে ধর্ষণকারী ২ আসামি বন্দুকযু‌দ্ধে নিহত

: নুরুল করিম রাসেল
প্রকাশ: ৫ years ago

টেকনাফ টুডে ডেস্ক : চাঁদরাতে মেহেদি দিয়ে হাত রাঙাতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীর দুই ধর্ষক পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত দুই ব্যক্তি স্কুলছাত্রী গণধর্ষণ মামলার প্রধান দুই আসামি ছিলেন।

ভোলা সদর উপজেলায় মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে পুলিশের সঙ্গে এ ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- সদর উপজেলার চরসামাইয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সৈয়দ আহম্মেদের ছেলে আল আমিন (২৫) ও কামাল মিস্ত্রির ছেলে মঞ্জুর আলম (৩০)।

স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ রাজাপুর এলাকার নদীর তীর সংলগ্ন এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ চাঁদরাতে স্কুলছাত্রী গণধর্ষণ মামলার প্রধান দুই আসামি নিহত হন। পরে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভোলা মডেল থানা পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শিখর বলেন, মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে রাজাপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ রাজাপুর এলাকায় স্কুলছাত্রী গণধর্ষণ মামলার আসামিদের ধরতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে পুলিশ। এতে গণধর্ষণ মামলার প্রধান দুই আসামি নিহত হয়েছেন।

এএসআই শিখর আরও বলেন, পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত দুই ব্যক্তি চরসামাইয়া এলাকার ‘স্কুলছাত্রী’ গণধর্ষণ মামলার আসামি আল আমিন ও মঞ্জুর আলম। চাঁদরাতে মেহেদি দিয়ে সাজতে গিয়ে তাদের হাতে গণধর্ষণের শিকার হয় ষষ্ঠ শ্রেণির ওই ছাত্রী। নিহতদের মরদেহ ভোলা সদর হাসপাতালে রয়েছে।

গণধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার উপজেলার চরসামাইয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের চরসিফলি গ্রামের এক কৃষক ঈদ উপলক্ষে তার আদরের দুই মেয়ের জন্য বাজার থেকে মেহেদি কিনে আনেন।

রোববার (১১ আগস্ট) সন্ধ্যার দিকে তাদের বাবা গরু বিক্রি করার টাকা আনতে ভোলা শহরে যান। বাবা শহরে চলে যাওয়ার পর দুই বোন রাত ৮টার দিকে প্রতিবেশী দুঃসম্পর্কের আত্মীয় মাহফুজের স্ত্রীর কাছে হাতে মেহেদি দিয়ে সাজতে যায়। ওই সময় আগে থেকে অপেক্ষমাণ মাহফুজের ঘরের ভাড়াটিয়া আল আমিন ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া স্কুলছাত্রীকে ডেকে তার ঘরে নিয়ে যায়। এ সময় আলমিনের স্ত্রী ঘরে ছিল না। এ সুযোগে ওই ছাত্রীকে আলামিন ও তার সহযোগী মঞ্জুর আলম হাত-পা ও মুখে কাপড় বেঁধে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরে ছাত্রীর চিৎকারে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে মুমূর্ষু অবস্থায় ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গোপনাঙ্গে থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় পরে ওই ছাত্রীকে সোমবার ঈদের দিন বরিশালের শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় ( শেবাচিম) হাসপাতালে পাঠানো হয়।