ভারতের মিজোরাম রাজ্যের মানুষ সবচেয়ে সুখী

লেখক: হুমায়ুন রশিদ
প্রকাশ: ৩ years ago

টেকনাফ টুডে ডেস্ক : রাজনীতি, জীবনযাত্রার মানসহ হাজারো চিন্তায় যে দেশের মানুষ দিনাতিপাত করে সে দেশেই আছে এমন এক রাজ্য যেখানে মানুষ সব সময় হাসিমুখে থাকে। যেন তাদের কোনো দুঃখ নেই। সাক্ষরতার দিক থেকেও সেই রাজ্য এগিয়ে। রাজ্যটি ভারতের মিজোরাম। সমীক্ষার ভিত্তিতে সম্প্রতি মিজোরামকে ভারতের সবচেয়ে সুখী রাজ্য বলা হয়েছে। এতে বলা হয়, মিজো সমাজে নেই ধর্মীয় ভেদাভেদ বা বর্ণভেদ। এখানে শিশুদের ওপর অতিরিক্ত পড়াশোনার চাপ দেন না অভিভাবকরা, এর পরও এখানকার শতভাগ মানুষই শিক্ষিত। এখানকার পড়াশোনার সব খরচ বহন করে রাজ্য সরকার।

গুরুগ্রামের ম্যানেজমেন্ট ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক রাজেশ কে পিলানিয়ারের একটি সমীক্ষা রিপোর্টের ভিত্তিতে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। সমীক্ষা থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ছয়টি বিষয়ের ওপরে ভিত্তি করে ভারতের সবচেয়ে সুখী রাজ্য বলা হয়েছে। বিষয়গুলো হলো পারিবারিক সম্পর্ক, জীবিকা সংক্রান্ত পরিবেশ, সামাজিকতা, ধর্মীয় পরিবেশ, মহামারি কভিডের প্রভাব, রাজ্যের মানুষের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা।

সমীক্ষায় বলা হয়েছে, মিজো সম্প্রদায়ে লিঙ্গবৈষম্য নেই বললেই চলে। কাজের মধ্যেও নেই ছোট-বড় মাপকাঠি। এখানকার মানুষের ব্যবহার অত্যন্ত নমনীয়। তারা সবাই সবাইকে সম্মান করে। এই সম্প্রদায়ের ছেলেমেয়েরা ১৬-১৭ বছর বয়স হলেই কোনো না কোনো পেশার সাথে যুক্ত হয়ে পড়ে।

সমীক্ষায় বলা হয়েছে, মিজো সম্প্রদায়ের মানুষের কোনো চিন্তা নেই, তারা সবাই সুখী। তাদের সুখী হওয়ার পেছনে সামাজিক পরিকাঠামো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। মিজোরামের মানুষ পরিশ্রমী ও অধ্যবসায়ী। শিক্ষকরাও নিয়মিত অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। শিক্ষকরাই এখানে শিক্ষার্থীদের বন্ধু। তাদের হাত ধরেই গড়ে উঠছে মিজো সম্প্রদায়ের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। সূত্র : দ্য ওয়াল ও ইন্ডিয়া টুডে।