ব্রিটেনে সেরা মুসলিম মনোনীত ‘সুমাইরা ফারুক’ পুলিশের নজরদারিতে!

: নুরুল করিম রাসেল
প্রকাশ: ৫ years ago

টেকনাফ টুডে ডেস্ক : মুসলিম অব দ্য ইয়ার বা বছরের সেরা ব্রিটিশ মুসলিম হিসেবে মনোনীত নূর টিভির প্রধান নির্বাহী ও সাংবাদিক সুমাইরা ফারুক। সম্প্রতি জিহাদে উসকানি দেয়ার অভিযোগে দেশটির পুলিশি নজরদারিতে রয়েছেন তিনি। কাশ্মীর ইস্যুতে দেয়া তার এক বক্তব্য নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

৩৮ বছর বয়সী পেশায় সাংবাদিক ও ব্যবসায়ী সুমাইরা ফারুক সামাজিক ও মুসলিমদের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে সক্রিয়। সম্প্রতি বার্মিংহামে এক জনসভায় তিনি বক্তব্য দেন। এ বক্তব্যের একটি ভিডিও ফুটেজ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা ঝড় বইছে।

ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় যে তিনি বলেছেন, ‘জিহাদই হচ্ছে মুসলিমদের জন্য একমাত্র সমাধান। এরপরই তাকে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ব্রিটিশ গোয়েন্দারা।

ডেইলি মেইল-এর তথ্য মতে, ‘অভিযুক্ত সুমাইরা ফারুক একজন ব্যবসায়ী ও সাংবাদিক। তিনি নুর টিভির প্রধান নির্বাহী। ফুটেজটি ধারণের দিন তিনি কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত সরকারের আচরণের নিন্দা জানিয়েছিলেন।

Faruque-1

সে সময় তিনি বার্মিংহামে শত শত মানুষের সামনে বলেন, আজকে শুধু একটিই স্লোগান উচ্চারিত হবে। তা হলো- কাশ্মীর থেকে কারফিউ তুলে নাও। তাদেরকে তাদের মতো করে বাঁচতে দাও।

তারপরই সুমাইরা ফারুক বলেন, মুসলিমদের জন্য শুধু একটি কথাই সত্য যে, জিহাদই একমাত্র সমাধান। কোনো আন্দোলন বা অন্য কিছু নয়, শুধু জিহাদ দরকার।

গত রোববার নজরদারিতে থাকা সুমাইরা ফারুককে তার বাড়িতে গিয়ে পুলিশ তদন্তের বিষয়টি জানায়। এ সময় সুমাইরা ফারুক তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেন, ‘বক্তব্যে তিনি জিহাদের যে বিষয়টি তুলে ধরেছেন, তাতে জিহাদের শান্তিপূর্ণ অংশের কথা বুঝিয়েছেন তিনি।’

সুমাইরা ফারুক পাল্টা অভিযোগ করেন যে, তিনি হিজাব পরেন আর হিজাব পরে বক্তৃতা দেয়ায় তাকে নিয়ে এ সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।

সুমাইরা ফারুকের ভাষায়, ‘যদি বৃষ্টি সরকারের কোনো বিষয় কারো ভালো না লাগে আর সে বিষয়ে যদি প্রতিবাদ করা হয়, ইসলামের দৃষ্টিতে সেটিই জিহাদ।

তিনি পুলিশকে আরও বলেন, ‘আপনারা কি ভাবছেন? আমি মুসলিমদের বলছি- যাও তোমরা যুদ্ধ করো! বরং আমি এশিয়দের ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে উৎসাহিক করি। এ বিষয়ে বিভিন্ন সময় কাজ করছি। আর আমি কীভাবে সহিংসতায় উসকানি দিতে পারি!

উল্লেখ্য যে, সুমাইরা ফারুক ব্যাপক সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত। তিনি ব্রিটেনের প্রিন্স চালর্সসহ অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে সামাজিক ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে কাজ করে যাচ্ছেন। মুসলিমদের অধিকারে স্বোচ্ছার এ নারী সাংবাদিকের মতে, হিজাব পরিধান করে সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণই তার বিরুদ্ধে এ তদন্ত ও নজরদারি।