টেকনাফ টুডে ডেস্ক : গত ১৪ মে ঢাকায় কর্মরত বিদেশি কূটনীতিকদের অতিরিক্ত প্রটোকল (নিরাপত্তা) সুবিধা প্রত্যাহার করেছে সরকার। এ নিয়ে শুরু হওয়া আলোচনা-সমালোচনার মুখে সরকারের পক্ষ থেকে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক সংবাদ ব্রিফিংয়েও বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক ও মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন।
কূটনীতিকদের বাড়তি নিরাপত্তা প্রত্যাহারের মতো সামান্য বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন সেহেলী সাবরীন। তিনি বলেন, এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান কূটনৈতিক পত্রের মাধ্যমে দূতাবাসগুলোকে জানিয়ে দেওয়া হবে।
ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের কাছে সাংবাদিকরা জানতে চান- কূটনীতিকদের বাড়তি নিরাপত্তা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত থেকে সরকার সরে আসবে কিনা?
জবাবে মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন বলেন, কূটনীতিকদের সরকার যে নিরাপত্তা দিত, তা বহাল রয়েছে। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য বাড়তি যে এসকর্ট ছিল, শুধুমাত্র সেটি প্রত্যাহার করা হয়েছে। সরকার এও বলেছে, এ সেবা চাইলে দূতাবাসগুলো অর্থের বিনিময়ে আনসার ব্যাটালিয়ন থেকে নিতে পারবে।
এক প্রশ্নের জবাবে সরকারের এমন সিদ্ধান্তে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, একটি বিষয়ের ওপর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নির্ভর করে না। অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক, প্রবাসীদের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট অনেক বিষয় থাকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে। সামান্য বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে প্রভাব পড়বে না।
এ সময় সাংবাদিকরা জানতে চান- কূটনীতিকদের বাড়তি নিরাপত্তা কয়টি দেশকে, কবে থেকে এবং কী কারণে দেওয়া হতো?
জবাবে সেহেলী সাবরীন বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে এ মুহূর্তে তথ্য নেই, জেনে জানানো হবে। আর বাংলাদেশ সরকারের অবস্থান সব দূতাবাসকে কূটনৈতিক পত্রের মাধ্যমে আমরা জানাব। বাকি অগ্রগতি পরবর্তী সময়ে জানানো হবে।
এখন পর্যন্ত কোনো দেশ বাড়তি নিরাপত্তা চেয়েছে কিনা– এমন প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দূতাবাসগুলোকে জানালে, তখন তারা তাদের চাহিদা মতো নিরাপত্তা চাইবে। তখন আমরা এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেব।