১৭ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সংস্করণ:
রিয়াজুল হাসান খোকন, বাহারছড়া |
টেকনাফ বাহারছড়ায় দুইটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শৌচাগারের পাশ ঘেঁষে মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতীক শহীদ মিনার নির্মান করার অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে স্থানীয় জনসাধারণ সহ সর্ব মহলে মাঝে চরম ক্ষোভের দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, বছর দুয়েক আগে টেকনাফ বাহারছড়ায় ভাষা শহীদ ও মহান মুক্তি যুদ্ধের শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা ও স্মৃতি চারণের জন্য এই শহীদ মিনারটি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, শৌচাগারের পাশ ঘেঁষে শামলাপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও শামলাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় কতৃপক্ষ সম্পুর্ণ উদাসীন ভাবে কোনো নিয়ম না মেনে শহীদ মিনারটি নির্মান করে যা দেখলে উল্টো শহীদদের কে অবমাননা করছে বলে যে কোনো ব্যক্তির মনে হবে বলে
উক্ত স্থানে গিয়ে দেখা যায় শহীদ মিনারটি উক্ত দুইটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তিনটি শৌচাগারের পাশ ঘেঁষে নির্মান করা হয়েছে, যা শহীদ মিনারটির সৌন্দর্য্য ও পবিত্রতা নষ্ট হচ্ছে। তা ছাড়া ভাষা দিবস, স্বাধীনতা দিবস, ও মহান বিজয় দিবসে শহীদদের প্রতি বিনম শ্রদ্ধা জানাতে বাহারছড়ার জনগণ একমাত্র এই শহীদ মিনারে ফুল দিতে আসলে সেখানে সবার থেকে পাশের শৌচাগারের একটি পচাঁ দুগন্ধ সহ্য করতে হয়, যা সেখানে একটি অস্বস্তিকর পরিবেশের সৃষ্টি করে।
আর একাধিক বার স্থানীয় জনগণ উক্ত সমস্যার কথা স্কুল কতৃপক্ষ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জানালেও মুলত কয়েক বছর যাবত স্থানীয় জনগণ এই সমস্যা সামাধানের কোনো আলোর মুখ দেখতে পাইনি বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন।
এব্যাপারে বাহারছড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন খোকন বলেন, বাহারছড়ার একমাত্র শহীদ মিনারটির অবস্থা বর্তমানে খুবই নাজুক, এখানে শহীদ মিনারটি সৌন্দর্য্য ও পবিত্রতা বলতে কিছুই নেই, এখানে মহান শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আসলে শৌচাগারের একটি বিশ্রি পচাঁ দূগন্ধ সহ্য করতে হয়, যা সম্পুর্ণ একটি বিভ্রান্তিকর ব্যাপার, আর আমরা এই সমস্যার ব্যাপারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও স্কুল কতৃপক্ষকে বারবার অভিহিত করলেও তারা এই সামান্য সমস্যাটি এখনো সামাধান করতে পারেনি, যা খুবই দুঃখ জনক।
এব্যাপারে শামলাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাষ্টার আবুল মনজুরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আসলে স্থানীয় উৎসাহী কিছু লোক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে শহীদ মিনারটি নির্মাণ করেন। যারা নির্মাণ করেছিলেন তারা বিষয়টি খেয়াল করলে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না।
অন্যদিকে স্থানীয় জনগণ শহীদ মিনারটির পাশ ঘেঁষে শৌচাগার গুলো সরিয়ে ফেলে শহীদ মিনারের সৌন্দর্য্য ও পবিত্রতা রক্ষা করার দাবী জানিয়েছেন।
