ছোট বেলায় মাকে হারিয়ে স্কুল শিক্ষক মামার হাত ধরে সাম্পান যোগে উখিয়ার বালুখালী পর্যন্ত এসে তারপর জীপ, বাস কয়েকরকম বাহন বদলিয়ে চকরিয়া পৌছেন। চল্লিশের দশকে টেকনাফ পর্যন্ত সড়ক যোগাযোগ ও ভাল শিক্ষা ব্যবস্থা ছিল না। চকরিয়ায় মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়ালেখা শেষ করে চট্টগ্রাম কমার্স কলেজে এসে ভর্তি হন।
ষাট সালে সেখান থেকে গ্র্যাজুয়েশান শেষ করে শিকড়ের টানে টেকনাফ ফিরে এসে স্কুলে শিক্ষকতার পেশায় যোগ দেন, অথচ তিনি বিদেশী ব্যাংকে ভাল চাকরীর নিয়েগপত্র পেয়েছিলেন।
টেকনাফ স্কুলকে জুনিয়র থেকে হাইস্কুলে উন্নীত করনসহ স্কুলের মানোন্নয়নে কঠোর পরিশ্রম করেন এবং শিক্ষা বঞ্চিত এলাকায় শিক্ষার প্রসারে নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেন।
মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসাবে সময়ের সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে পিছপা হননি। পাকিস্থানী বাহিনী বাবাকে না পেয়ে চরম আক্রোশে আমাদের ঘর বাড়ী সব জ্বালিয়ে দেয়। কিছুদিন আত্বীয় বাড়ী লুকিয়ে জীবন রক্ষা করে শেষে বাধ্য হয়ে আমাদের পুরো পরিবার বার্মায় আশ্রয় নিই।
স্বাধীনতার পর প্রধান শিক্ষক হিসাবে স্কুলের হাল ধরেন এবং টেকনাফ স্কুলকে এলাকার শ্রেষ্ঠ স্কুলে পরিনত করেন।
অবসর জীবনে এখনো দেশের জন্য ভাবেন। দেশে বিদেশে অবস্থানরত ছাত্রদের কোন সুখবর পেল খুব খুশী হন।
বাবার সুস্থ্য দীর্ঘ জীবন কামনা করছি।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রফেসর
ডা. এ, কে, এম রেজাউল করিমের টাইমলাইন থেকে
