বাঘ শিকারে নামছে পাকিস্তান !

লেখক: নুরুল করিম রাসেল
প্রকাশ: ৬ years ago

টেকনাফ টুডে ডেস্ক : চলমান বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওঠার দরজাটা প্রকৃতপক্ষে বন্ধই হয়ে গেছে পাকিস্তানের জন্য, এটা বুঝতে বাকি নেই ইমাম উল হকের। তাই তো কঠিন এ বাস্তবতা মেনে নিয়েছেন পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান, তাকিয়ে ভালো একটি শেষে। তাদের লক্ষ্য, জয় তুলেই বিশ্বকাপ মিশন শেষ করা। যা বাস্তবায়নে আজ সবটাই ঢেলে দেবে পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা, মাঠে নামবে বাঘ শিকারে বাংলাদেশ ম্যাচ সামনে রেখে এমনটাই জানালেন ইমাম।

পাকিস্তানের সেমি খেলার স্বপ্ন দারুণভাবে বেঁচে থাকত যদি বুধবার নিউজিল্যান্ড-ইংল্যান্ড ম্যাচে হারত বিশ্বকাপের আয়োজকরা। কিন্তু প্রত্যাশিত সেই ফলাফল পাননি সরফরাজ আহমেদরা। কিউইদের হারিয়ে দীর্ঘ ২৭ বছর পর ক্রিকেটের মেগা ইভেন্টে সেমি খেলার টিকেট কেটেছে ইংলিশরা। ধূলিসাৎ করেছে পাকিস্তানের শেষ চারে খেলার স্বপ্ন। কেননা উইয়ন মরগানদের ওই জয়ের পর যদি আজ লর্ডসে টস হেরে বোলিং পায় মিকি আর্থারের শিষ্যরা, তাতেই বিদায় ঘণ্টা বাজবে তাদের।

আগে ব্যাটিং করলে? পাকিস্তানকে করতে হবে ৪০০ রান। এরপর বাংলাদেশকে গুটিয়ে দিতে হবে ৮৪ রানেই। সরফরাজদের সংগ্রহ ভিন্ন হলে সমীকরণ বদলাবে কিন্তু তা মেলাতে এমন কিছুই করতে হবে, যা কখনই করতে পারেনি কোনো দল। বুদ্ধিমান ইমাম তাই ওসব হিসাব করতে গিয়ে নির্বুদ্ধিতার পরিচয় দিতে রাজি নন। পাকিস্তানের বিশ্বকাপ শেষ, এটা মেনে নিলেন অকপটেই, ‘আমরা সেমিফাইনালে যেতে পারছি না, তাই এ নিয়ে এখন আর কিছু ভাবছি না।’

তবে এ মুহূর্তে পাকিস্তানের ভাবনার যে কিছু নেই বিষয়টা কিন্তু নয় এমনও। সরফরাজদের ভাবনার সবটা জুড়ে এখন বাংলাদেশ ম্যাচ। ইতিবাচক ক্রিকেট খেলে শেষটা দুর্দান্তই চায় তারা এমনটা স্পষ্ট ইমামের বক্তব্যে, ‘আমাদের পরিকল্পনা ছিল, সর্বাত্মক চেষ্টা করব সেমিফাইনাল খেলার জন্য এবং যদি শেষ পর্যন্ত এমনটা না হয়, তবে অবশ্যই আমাদের ইতিবাচক ক্রিকেট খেলতে হবে এবং শেষটা করতে হবে দারুণভাবে।’

চলমান বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম পাঁচ ম্যাচের মাত্র একটিতেই জয় পেয়েছে পাকিস্তান। তবে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় পরের তিন ম্যাচে। হারায় যথাক্রমে দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড এবং আফগানিস্তানকে, চাঙ্গা করে সেমি খেলার স্বপ্ন। কিন্তু অন্য দলগুলোর জয়-পরাজয়ের পালা বদলে সরফরাজদের সেই স্বপ্ন এখন মিলিয়ে গেছে অন্ধকারে। ইমামের মতে, অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারের কারণেই পাকিস্তানের বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গেছে।

গত ১২ জুন টনটনের কাউন্টি গ্রাউন্ডে সর্বোচ্চ পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের ৩০৭ রান তাড়া করতে নেমে পাকিস্তান গুটিয়ে যায় ২৬০ এ। অথচ তখনও বাকি ছিল ম্যাচের ২৬ বল। ওই হারকে কষ্টদায়ক উল্লেখ করে ইমাম বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারটা আমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছে। উইকেটে থিতু হয়ে ভালো খেলছিলাম। পাকিস্তানের হয়ে ওই ম্যাচটা আমার জেতা উচিত ছিল। আমরা দ্রুত চার উইকেট হারাই। আমি মনে করি, ওই ম্যাচটা আমাদের জেতা উচিত ছিল।’

ইংল্যান্ডে পর্দা ওঠা বিশ্বকাপের এখন পর্যন্ত মাত্র একটি হাফসেঞ্চুরিতে সাত ইনিংসে মাত্র ২০৫ রান করতে পেরেছেন ইমাম। ২৩ বছর বয়সি এ ব্যাটসম্যান তাই আশাহত নিজের পারফরম্যান্সেও, ‘আমার কাছে যেমন প্রত্যাশা ছিল তা আমি করতে পারিনি। ভালো শুরু পেলেও লম্বা ইনিংস খেলতে পারিনি। আমি অনেক তরুণ এবং এ বিশ্বকাপ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। যে ভুলগুলো করেছি তা থেকে শিখেছি। আমি নিশ্চিত, এটা আমাকে সাহায্য করবে।’