শামীম ইকবাল চৌধুরী : বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারীতে এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে অসহায় লোকজনদের হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড লম্বাবিল গ্রামের বাসিন্দা মৃত আবুল হোছনের পুত্র মোঃ হারুন অর রশিদ প্রকাশ কোটিপতি হারুন সামান্য বিষয় নিয়ে একের পর এক সাধারণ মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। তার মামলা থেকে রেহাই পায়নি সাধারণ মানুষ,সাধারণ ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সাংবাদিক পর্যন্ত
মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার বাইশারী বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মোঃ শহিদুল্লাহ জানান , বিগত ২০২১ সালে আমার বোন জামাই থেকে গরুর খড় ক্রয় করে দীর্ঘদিন পর পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে দিনে দুপুরে প্রকাশ্যে বাইশারী বাজারে এলোপাতাড়ি মারপিট করে মাটিতে ফেলে গুরুতর আহত করে। এসময় আমার বোন জামাইকে উদ্ধার করতে গিয়ে আমি ও তার হামলার শিকার হতে হয়। এছাড়া কেন তাকে রক্ষা করতে গেলাম হুংকার দিয়ে বলে ২৪ ঘন্টার মধ্যে তোকে দেখে নেবে । কোটিপতি হারুন কথা নয় কাজে বিশ্বাসী । ২৪ ঘন্টা পার না হতেই শহিদের দোকানে কৌশলে ৪৫ পিচ ইয়াবা ঢুকিয়ে পুলিশকে খবর দিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। যাহা নিয়ে গণ মাধ্যম সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এছাড়া নিরহ অসহায় মানসিক ভারসাম্যহীন শহিদুল্লাহকে গ্রেফতারের বিষয় নিয়ে ব্যবসায়ী মহল বাজারে বিশাল প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশে নব্য কোটি পতি হারুনকে গ্রেফতার দাবী জানান।
একই ভাবে সংবাদ কর্মী আবদুর রসিদ তার অপকর্মের প্রতিবাদ করতে মিথ্যা মামলায় তাকে ফাঁসিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। নাইক্ষংছড়ি প্রেসক্লাবের সদস্য আব্দুর রসিদ জানান, আমি তার অপকর্মের প্রতিবাদ ও তাকে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করতে নিষেধ করায় আমাকে চাঁদাবাজির মত জঘন্য মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে।
একইভাবে তার আপন চাচা লম্বাবিল গ্রামের বাসিন্দা ছৈয়দ হোছন ও তার ছেলে রুস্তম আলী, এবং রমজান আলমকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
অনুসন্ধান ও সরজমিন গিয়ে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানাযায়,গত ১৫ জুলাই ২২ ইংরেজি তারিখ জোর পুর্বক হারুন ও তার লোকজন ছৈয়দ হোছনের জায়গা জোরপূর্বক দখল করতে গেলে তাকে বাধা প্রদান করে। এতে হারুন ক্ষিপ্ত হয়ে গালমন্দ সহ মারধর করে। এক পর্যায়ে ছৈয়দ হোছনের পরিবারের একমাত্র উপার্জনের মাধ্যম টমটম গাড়ীটি ভাংচুর করে তছনছ করে দেয়। এসময় ছৈয়দ হোছনের ছেলেকে ঘুষি মারতে গিয়ে টমটমের গ্লাসে লেগে হারুনের হাতে আঘাত প্রাপ্ত হলে থানায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। বর্তমানে একদিকে মামলা অন্যদিকে একমাত্র উপার্জনের মাধ্যম টমটম গাড়ীটি নষ্ট করে দেওয়ায় ছৈয়দ হোছনের পরিবারের লোকজন চরম অসহায় হয়ে পড়েছে। তাছাড়া ও হারুন প্রতিনিয়ত ছৈয়দ হোছনের পরিবারের লোকজন কে ভয়ভীতি সহ বিভিন্ন মামলায় জড়ানোর হুমকি দিচ্ছে বলে জানান।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সাদেক বলেন পরিষদের পক্ষ থেকে তিনি বিষয়টি তদন্ত করেছেন। হারুন তাদের মারতে গিয়ে নিজেই টমটমের গ্লাসে হাত কেটে উল্টো মামলা করছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত হারুন বলেন তার উপর অহেতুক হামলা করেছেন। তাই তিনি আইনের আশ্রয় নিয়েছেন।
বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আলম কোম্পানি বলেন সম্পুর্ন মিথ্যা ঘটনায় লোকজনদের হয়রানি করছে হারুন। আমি তাকে পরিষদের মাধ্যমে স্থানীয় গন্যমান্যদের নিয়ে সমাধানের কথা বলার পর ও না শুনে মিথ্যা মামলা দিয়ে অসহায় লোকজনকে হয়রানি করছে।
এলাকাবাসী হারুনের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার সহ হয়রানি থেকে বাঁচার জন্য প্রশাসন সহ পুলিশ সহায়তা কামন করছেন।
