টেকনাফ টুডে ডেস্ক : নয়বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া বরেণ্য চিত্রগ্রাহক মাহফুজুর রহমান খান আর নেই। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা ২৬ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন…)।
মাহফুজুর রহমান খানের মৃত্যুর খবরটি দৈনিক আমাদের সময় অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন চিত্রপরিচালক সমিতির সাংগঠনিক সচিব কাবিরুল ইসলাম রানা।
পরিবারের ভাষ্য, ২৫ নভেম্বর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগের দিনও পুরোপুরি সুস্থ ছিলেন মাহফুজুর রহমান খান। কিন্তু ওইদিন সন্ধ্যায় খেতে বসলে তার কাশির সঙ্গে প্রচণ্ড ব্লিডিং শুরু হয়।
এরপর দ্রুত হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখার পরামর্শ দেন। এরপর থেকেই লাইফ সাপোর্টে রাখা হয় এই চিত্রগ্রাহককে। কিন্তু ২৮ নভেম্বর ফুসফুস ও পাকস্থলীতে থেমে থেমে রক্তক্ষরণ হচ্ছিলো বলে জানান তার চিকিৎসকরা। এমনকি বিভিন্ন অঙ্গ অকার্যকর হয়ে পড়ে তার। শেষ পর্যন্ত আর রক্ষা হলো না এই গুণী চিত্রগ্রাহকের।
দীর্ঘদিন ধরে মাহফুজুর রহমান খান ডায়াবেটিস ও ফুসফুসের রোগে ভুগছিলেন। তার স্ত্রী মারা যান ২০০১ সালে। তখন থেকেই ধীরে ধীরে তিনি অসুস্থতায় পড়েন।
মাহফুজুর রহমান খান তার দীর্ঘ ক্যারিয়ারে নয়বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, আটবার বাচসাস পুরস্কার এবং মেরিল-প্রথম আলো সমালোচক পুরস্কার পেয়েছেন।
পেশাদার চিত্রগ্রাহক হিসেবে মাহফুজুর রহমান খান ১৯৭২ সালে প্রথম চলচ্চিত্রে কাজ করেন। তিনি আলমগীর কবির, আলমগীর কুমকুম, হুমায়ুন আহমেদ, শিবলি সাদিকদের মত কিংবদন্তি চলচ্চিত্র পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করেন। বিশেষ করে হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত প্রায় সব চলচ্চিত্রের চিত্রগ্রাহক ছিলেন।তার চিত্রগ্রহনে ছবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, আমার জন্মভূমি, অভিযান, মহানায়ক, চাঁপা ডাঙ্গার বউ, ঢাকা ৮৬, অন্তরে অন্তরে, পোকা মাকড়ের ঘর বসতি, আনন্দ অশ্রু, শ্রাবণ মেঘের দিন, দুই দুয়ারী, চন্দ্রকথা, নন্দিত নরকে, হাজার বছর ধরে, বৃত্তের বাইরে, ঘেটুপুত্র কমলা।