নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চরমপত্র
ডেস্ক নিউজ :
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ঢাকায় ৩০টি খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের মান যাচাই শেষে সনদ দিয়েছে। এতে ‘এ’ গ্রেডের স্টিকার পেয়েছে ১৪টি প্রতিষ্ঠান, ‘বি’ গ্রেড ৯টি এবং ‘সি’ গ্রেড ৭টি। ‘সি’ গ্রেডের কোন প্রতিষ্ঠানকে স্টিকার দেওয়া হয়নি বরং তাদের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে একমাস— ৩০ জানুয়ারি ২০২০ পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে মান সন্তোষজনক না হলে কারখানা সিলগালা করার কথা জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
‘সি’ গ্রেডের ৭ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চট্টগ্রামের দুই প্রতিষ্ঠান বনফুল ও মধুবনের ঢাকা কারখানাও রয়েছে।
বনফুল ও কিষোয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান হলেন সাতকানিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান এমএ মোতালেব। তার মুঠোফোনে ফোন করলে তিনি বিদেশে অবস্থান করছেন বলে জানান।
তার ব্যক্তিগত সহকারী আবু তৈয়ব চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘ঢাকার বিষয়টি এখনো আমরা জানি না। চট্টগ্রামের বাইরে আমাদের আরও তিনটি কারখানা রয়েছে। কাগজপত্র হাতে পেলে বলতে পারবো।
সর্বশেষ ১১ নভেম্বর মেয়াদোত্তীর্ণ পাউরুটি, বিস্কুট, কেক রাখা ও বিক্রির অপরাধে পুরান ঢাকার চকবাজারের বনফুলসহ ছয় প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক জরিমানা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। ওই অভিযানকালে পাউরুটি, বিস্কুট, কেক ইত্যাদির প্যাকেটের গায়ে উৎপাদনের তারিখ, মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ, সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয় মূল্য না থাকা ও মেয়াদোত্তীর্ণ কেক বিক্রির উদ্দেশ্যে সংরক্ষণ করায় বনফুলকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এর আগে ২২ মে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওজনে কম দেওয়ার অপরাধে বনফুল কোম্পানির ইপিজেড শাখাকে ১৫ হাজার, সিজল কোম্পানির একটি শাখাকে ১৫ হাজার এবং পচা-বাসি খাবার সংরক্ষণ ও ওজনে কম দেওয়ার অপরাধে ফুলকলি কোম্পানির বন্দরটিলা শাখাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
তারও আগে গত ১১ মে পৃথক অভিযানে বনফুল ও মধুবনকে ৬ লাখ টাকা জরিমানা করে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর উপকরণ দিয়ে চট্টগ্রামের বায়েজিদে বনফুলের কারখানায় মিষ্টি তৈরি হয়— এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালায় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় বনফুলকে চার লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অন্যদিকে নগরীর হামজারমাগ এলাকায় মধুবনের কেক-বিস্কুট তৈরির কারখানায় অভিযান চালায় র্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত। এ সময় পচা ডিম ও বাসি পামওয়েল দিয়ে কেক ও বিস্কুট তৈরির প্রমাণ পাওয়ায় কারখানা মালিককে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।