টেকনাফ টুডে ডেস্ক : ‘বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ বিশ্ববাসীর সম্পদ, এটি শুধু বাঙালিদের নয় সমগ্র বিশ্ববাসীর জন্য গৌরবের, আমরা ব্রিটিশরাও এ নিয়ে গর্বিত। আর একারণেই অমূল্য এই ভাষণকে ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব হ্যারিটেজের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিশ্ববাসীর সম্পদ হিসেবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যে অমূল্য ভাষণটিকে বিভিন্ন ভাষায় প্রচার করা উচিত।’ এ মন্তব্য লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের নির্বাহী মেয়র জন বিগস’র। সোমবার সন্ধ্যায় ইস্টলন্ডনের অট্রিম ব্যানকুইটিং হলে যুক্তরাজ্য নাগরিক কমিটি আয়োজিত আনন্দ সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মেয়র জন বিগস এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বাঙালিদের গর্ব করা উচিত।
প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠন সুলতান মাহমুদ শরীফের সভাপতিত্বে এবং বিশিষ্ট কমিউনিটি নেতা নইমুদ্দিন রিয়াজ ও টিভি উপস্থাপিকা উর্মি মাজহারের যৌথ সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের খাদ্য মন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কামরুল ইসলাম বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিশ্বব্যাপী আজ গবেষণা হচ্ছে, ইউনেস্কো এই ভাষণটিকে হ্যারিটেজ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু কিছু সংখ্যক স্বাধীনতাবিরোধী আজও এই সত্যকে স্বীকার করতে চায় না।
৭৫ সালে জাতির জনককে সপরিবারে হত্যার পর ইতিহাসের পাতা থেকে তার নাম মুছে ফেলতে চেষ্টা করা হয়েছে। ইচ্ছাকৃতভাবে ইতিহাস বিকৃতি ঘটানো হয়েছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর সত্য ইতিহাস তুলে ধরাসহ নানামুখী পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে। জাতির জনকের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে হলে তার কন্যার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ফয়েজুর রহমান লস্কর, আনসার আহমেদ উল্লাহ, হরমুজ আলী, মারুফ চৌধুরী, ফখরুল ইসলাম মধুসহ আরো অনেকে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির জনকসহ ১৫ আগস্টের সকল শহীদ ও মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর সকলে একসঙ্গে পরিবেশন করেন জাতীয় সঙ্গীত, বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বাজানো হয় ৭ মার্চের ভাষণ। এরপর শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কবিতা আবৃত্তি।