টেকনাফ স্থল বন্দরে মিয়ানমারের সেনা পোষাক
নুরুল করিম রাসেল, টেকনাফ টুডে ডটকম :
টেকনাফ স্থল বন্দরে আমদানী পন্যের আড়ালে আনা বিপুল পরিমান মিয়ানমার বাহিনীর সেনা পোষাক জব্দের ঘটনায় আটক মারমা যুবককে আসামী করে বিজিবি টেকনাফ থানায় মামলা দায়ের করেছে।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি মাইন উদ্দিন সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শুক্রবার রাতে বিশেষ ক্ষমতা আইনে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাটি (নং-১১৬) দায়ের করে বিজিবি। মামলায় ধৃত বান্দরবানের থানচি উপজেলার মুইখ্য পাড়ার হ্লা চাও মারমার ছেলে বো অং চায় মারমাসহ অজ্ঞাত ২/৩ জনকে আসামী করা হয়েছে।
ধৃত যুবককে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে শনিবার আদালতে প্রেরন করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। গত বুধবার টেকনাফ পৌরসভার ইসলামাবাদ এলাকা থেকে বিজিবি তাকে আটক করে পরে বৃহস্পতিবার রাতে তাকে টেকনাফ থানায় সোপর্দ্য করেছিল।
বিদেশী সেনা পোষাক আমদানীর এ ঘটনায় শুল্ক বিভাগ পৃথক মামলা রুজু করবে বলে জানিয়েছিল। বৈধ আমদানী পণ্যের আড়ালে অবৈধ পণ্য আমদানীসহ শুল্ক আইন লংঘনের দায়ে আমদানী কারক প্রতিষ্ঠান এসএ ট্রেডার্স এর মালিক আব্দুস সালাম ও ভাড়াটিয়া সিএন্ডএফ প্রতিষ্ঠানের মালিক আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে মামলাটি রুজু করার কথা রয়েছে টেকনাফ শুল্ক বিভাগের।
উল্লেখ্য গত বুধবার টেকনাফ স্থল বন্দরের গুদামে আমদানীকৃত পণ্য তল্লাশী চালিয়ে বিপুল পরিমান সেনা পোষাক-ব্যাজ জব্দ করেছিল টেকনাফ স্থল বন্দর শুল্ক বিভাগ।
এদিকে বিশ্বস্থ সূত্রে জানা গেছে উক্ত আমদানীকারক ও সিএন্ডএফ প্রতিষ্ঠানের যোগসাজসে পোষাকসহ এ ধরণের আরও পণ্য এ বন্দর দিয়ে আমদানী করা হয়েছিল।
সচেতন মহল আশংকা করছেন অস্ত্রের কোন চালান বন্দর দিয়ে খালাস হয়েছে কিনা তা গভীর ভাবে তদন্ত করে দেখা দরকার।
এছাড়া এ ঘটনায় টেকনাফ স্থল বন্দরের ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত বান্দরবানের থানছির এক জনপ্রতিনিধির নামও ঘুরেফিরে আলোচিত হচ্ছে।
সচেতন মহল মনে করছেন এ ধরনের ঘটনা দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি চ্যালেঞ্জ স্বরুপ। তাই বিদেশী সেনা পোষাক আমদানীর উদ্দেশ্য ও এর পেছনে জড়িতদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়াও জরুরী বলে মনে করছেন তারা।
অপরদিকে ঘটনায় জড়িত আমদানীকারক ও সিএন্ডএফ প্রতিষ্ঠানকে রক্ষা করতে একটি মহল মাঠে নেমেছে বলেও জানা গেছে।
