বিশেষ প্রতিনিধি :
প্রভাবশালীদের শেল্টারে অধরায় থেকে যাচ্ছে টেকনাফ সীমান্তের তালিকাভুক্ত শীর্ষ ইয়াবা গডফাদার, হুন্ডি ব্যবসায়ী ও মানব পাচারকারীরা ।
কতিপয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের শেল্টারে এই সব শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী, মানব পাচারকারী ও হুন্ডি ব্যবসায়ীরা প্রশাসনের অভিযান বাঁধাগ্রস্ত করতে নানা তদবির ও টাকার মিশন নিয়ে ছুটছে।
কিছু প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা এইসব তালিকাভুক্ত গডফাদারদের মোটা অংকের টাকায় বশ হয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে অভিযান কোনঠাসা করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
কারণ- তদন্ত করলে দেখা যাবে এইসব জনপ্রতিনিধি ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিরা কোন না কোনভাবে এসব অপরাধীদের সাথে যোগসাজস রয়েছে।
তাছাড়া টেকনাফ সীমান্তের জনপ্রতিনিধিদের একটি বড় অংশ এক সময়ের অবৈধ জগতের বাসিন্দা। তারা ইয়াবা, হুন্ডি ও মানব পাচার করে কাড়ি কাড়ি টাকার পাহাড় গড়ে তুলে।
উক্ত টাকার লোভে পেলে নির্বাচনের সময় এ এলাকার সহজ সরল মানুষের কাছ থেকে ভোট নামের মূল্যবান আমানতটি ছিনিয়ে নিয়ে নিজেরা জনপ্রতিনিধির চেয়ারে বসে প্রশাসনিক নানা ঝটঝামেলা থেকে বাঁচার পাথেয় তৈরি করেছে।
এমতাবস্থায় জনপ্রতিনিধি নামের সাধুরা অব্যাহত এ অপরাধ জগত চলমান রেখে উল্টো প্রশাসনের বিরুদ্ধে নানা প্রপাগন্ডা ছড়াচ্ছে। তারা বিভিন্ন মিডিয়াও অপপ্রচার ছড়িয়ে দিচ্ছে।
এমনটি হলে পরে জীবনেও এসব অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও ইয়াবা, হুন্ডি ও মানব পাচার বন্ধ হবে না বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করছেন।
দেশের প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ও বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানরা এসব অপরাধীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সে কাজ করার ঘোষণা দিলে বিষয়টি স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
সম্প্রতি টেকনাফের বিভিন্ন জায়গা এসব জনপ্রতিনিধি নামের ইয়াবা গড ফাদারদের আশ্রয় পশ্রয়দানকারী ব্যক্তিরা পুলিশের সরকারী কর্তব্য কাজে বাঁধা দান ও অপরাধী ছাড়িয়ে নেওয়ার মতো দুঃসাহসিক ঘটনার অপচেষ্টাও চালিয়েছে।
এইসব ক্ষেত্রে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু অসাধু ব্যক্তিদেরও দোষ রয়েছে বলে জানা গেছে।
তাই সকল বাঁধা বিপত্তি উপক্ষো করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে সকল লোভ লালসার উর্ধ্বে উঠে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতামূলক অভিযান পরিচালনা করতে হবে বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন সচেতন মহল।
খোঁজ নিয়ে ও তথ্যানুসন্ধানে আরো জানা গেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত গুটি কয়েকজন ছাড়া প্রভাবশালী গডফাদাররা এখনও ধরা ছোয়ার বাইরে; শুধু ছুনোপুটিরা ধরা পড়ে।
বড় বড় গডফাদাররা অধরা থাকে কেন?
এ নিয়ে প্রশাসনের অভিযান প্রশ্নবিদ্ধ।
এসব প্রশ্নবিদ্ধ অভিযান দিয়ে কখনো ইয়াবা, হুন্ডি ও মানব পাচারের মতো দেশদ্রোহী কর্মকান্ড বন্ধ করা যাবে না বলে এলাকাবাসীর মত প্রকাশ করেছেন।
তাই এ সব ক্ষেত্রে যৌথ ট্রাস্কফোর্সের মতো অভিযান দরকার বলে এলাকাবাসীর দাবী।
এ ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ, মোঃ মাঈন উদ্দিন খান বলেন, ইয়াবা, হুন্ডি ও মানবপাচারকারীরা যত বড়ই প্রভাবশালী হোক না কেন তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে। এ সব ক্ষেত্রে কোন প্রভাবশালী ব্যক্তিদের হস্তক্ষেপ গ্রহণ করা হবে না।