এম.জিয়াবুল হক : চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলমের মানবিক সহযোগিতা এবং ব্যক্তিগত তহবিলের অর্থায়নে অবশেষে পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভোলাইয়াঘোনা গ্রামের ১৪টি অগ্নিদুর্গত পরিবার পাচ্ছেন নতুন বাড়ি। বর্তমানে এসব বাড়ি নির্মাণ কাজ দ্রæতগতিতে এগিয়ে চলছে। চলতি ডিসেম্বর মাসের শেষদিকে অগ্নিদুর্গত ১৪টি পরিবারের হাতে নতুন বাড়ি তুলে দেবেন এমপি জাফর আলম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নির্মাণ কাজের তদারকে থাকা পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.কামরুল আজম।
জানা গেছে, ১৫ ডিসেম্বর ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ১৪টি পরিবারের বসতবাড়ি আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। খবর পেয়ে পেকুয়া দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছলেও তার আগেই আগুনে সর্বশান্ত হয় পরিবার গুলো। উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভোলাইয়াঘোনা চরপাড়া পেকুয়া কবির আহমদ চৌধুরী বাজারের পশ্চিম পাশে এ ঘটনা ঘটে।
আক্রান্ত পরিবার গুলো জানিয়েছে, আগুনের লেলিহান শিখা মুহুর্তের মধ্যে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় সদর ইউনিয়নের ভোলাইয়াঘোনা চরপাড়া এলাকার আবদুস ছোবাহানে ছেলে আলী হোছন, শুক্কুর মিয়ার ছেলে জমির, বদি আলমের ছেলে মোহাম্মদ হোছান, মৃত একরাম মিয়ার ছেলে বদিউল আলম, স্বামী পরিত্যক্তা হাজেরা বেগম, বদিউল আলমের ছেলে ছাবের আহমদ, মৃত নুরুজ্জামানের স্ত্রী রাবেয়া বেগম, নাজেম উদ্দিনের স্ত্রী ছকিনা বেগম, আলী হোসেনের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম ও বদিউল আলমের ছেলে শাহজাহানসহ অন্তত ১৪ জনের পরিবার সর্বশান্ত হয়।
এদিকে অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ জাফর আলম। তাঁর আগে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইকা শাহাদাত ও পেকুয়া থানার ওসি মো.কামরুল আজম।
জানতে চাইলে চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম বলেন, পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভোলাইয়াঘোনা গ্রামে অগ্নিদুর্গত ১৪টি পরিবারকে আমার ব্যক্তিগত তহবিলের অর্থায়নে নতুন বাড়ি তৈরী করে দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে এসব বাড়ির নির্মাণ কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। ডিসেম্বর মাসের শেষদিকে অগ্নিদুর্গত ১৪টি পরিবারের হাতে নতুন বাড়ি তুলে দেওয়া হবে। ##