পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মহেষখালীতে পান চাষীকে কুপিয়ে হত্যা

: নুরুল করিম রাসেল
প্রকাশ: ৪ years ago

এস. এম. রুবেল, মহেশখালীঃ
আবারো মহেশখালীতে হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। বিগত বছরের হত্যাকান্ডের আলোচিত আসামীরা গ্রেপ্তার হওয়ার আগেই নতুন বছরের শুরুতে আরো একটি নৃশংস হত্যাকান্ডের সাক্ষী হলো মহেশখালীবাসী। এই হত্যাকান্ডের আসামীরাও অন্যদের মত পার পেয়ে যাবে এমন শঙ্কা প্রকাশ করছেন সচেতন মহল।

সোমবার (১১ জানুয়ারী) সকাল ১১ টায় বড়মহেশখালী মুন্সির ডেইল রোহিঙ্গা বাজারে শত শত মানুষের সামনে আবদুল গফুর নামক এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যাকান্ডের মত এ জঘন্য ঘটনা ঘটায়।

নিহতের পিতা ফিরোজ মিয়া প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বড়মহেশখালীর মুন্সির ডেইল রোহিঙ্গা বাজারে স্থানীয় অছিউর রহমানের পুত্র কুখ্যাত সন্ত্রাসী ইউসুফ জালাল, তার ভাই গুরা মিয়া, আবদুল মজিদের পুত্র গিয়াস উদ্দীন প্রকাশ লেডাইয়া, তার ভাই সাহাব উদ্দীন এবং ইউসুফ জালালের বোনের জামাই জমির সহ আরো কয়েকজন কুপিয়ে নৃশংস ভাবে হত্যা করেছে তার ছেলে পানচাষী আবদুল গফুরকে (৪০)।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে আবদুল গফুর রোহিঙ্গা বাজারে চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিল। এর কিছুক্ষণ পর পরই সন্ত্রাসী ইউসুফ জালাল সহ কয়েকজন দা, গুলি, কিরিছ, লোহার রড় নিয়ে আবদুল গফুরকে হামলা করে। আবদুল গফুর দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করলে ঘাতকরা পিছু নিয়ে তাকে নৃশংস ভাবে উপর্যুপরি কুপিয়ে রক্তাক্ত করে। ঘাতকদের কোপে তার হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, পিটে, কোমরে, মাথায় সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে।

পরে স্থানীয়রা আবদুল গফুরকে উদ্ধার করে মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

এই ব্যাপারে অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মোঃ আশিক ইকবাল জানান, লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। এখন ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে।