হুমায়ূন রশিদ : টেকনাফে মাদক উদ্ধার অভিযানে গোলাগুলিতে হোয়াইক্যংয়ের মাদক ব্যবসায়ী মুফিদুল আলম গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে নিহত হয়েছে। এসময় পুলিশের ৩জন সদস্য আহত হলেও ঘটনাস্থল হতে অস্ত্র,বুলেট ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা যায়, ১৪জুলাই ভোররাতে টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের হাতে আটক মাদক ব্যবসায়ী ও একাধিক মামলার আসামী হোয়াইক্যং নয়াপাড়ার মৃত নজির আহমদের পুত্র মুফিদুল আলম প্রকাশ মংগ্যাইয়া (৪২)কে নিয়ে নয়াপাড়া বালিকা মাদ্রাসার পেছনে মাদকের চালান উদ্ধার অভিযানে যায়। এসময় তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। এতে পুলিশের এএসআই অহিদ, কনস্টেবল রুবেল মিয়া ও আহত হয়। পুলিশও সরকারী সম্পদ এবং আতœরক্ষার্থে ৩৮রাউন্ড পাল্টা গুলিবর্ষণ করে। কিছুক্ষণ পর গুলিবর্ষণকারীরা পালিয়ে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয় এবং ঘটনাস্থল তল্লাশী করে ২টি অস্ত্র, ১০রাউন্ড বুলেট ও ছিটিয়ে থাকা ৫হাজার পিস ইয়াবাসহ গুলিবিদ্ধ মুফিদুলকে উদ্ধার করে। তাদের চিকিৎসার জন্য টেকনাফ উপজেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। পুলিশ সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে গুলিবিদ্ধ মুফিদুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ প্রদীপ কুমার দাশ, উপরোক্ত মাদক উদ্ধার অভিযান এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাদক ব্যবসায়ী নিহতের সত্যতা করেন। তিনি আরো বলেন তদন্ত স্বাপেক্ষে এই ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
এদিকে স্থানীয় একাধিক সুত্রের দাবী, চলমান মাদক বিরোধী অভিযানের মধ্যেও জনৈক শাহজালাল, মোঃ শরীফ, মিজান ও আমিন গংয়ের নেতৃত্বে শক্তিশালী মাদক সিন্ডিকেট সক্রিয় থাকায় সম্প্রতি ৭০ হাজার ইয়াবার চালান খালাসকালে লুটপাটের ঘটনায় তুমুল হৈ চৈ শুরু হয়।