টেকনাফ টুডে ডেস্ক : পাহাড় রক্ষায় করতে হবে পাহাড় শুমারি। আর তা সরকারকেই করতে হবে। উচ্চ আদালত থেকে এমনই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
রবিবার বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতি (বেলা) ও পরিকল্পিত চট্টগ্রাম ফোরামের উদ্যোগে ‘চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড় কাটা বিষয়ক আলোচনা সভায়’ একথা বলেন বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেন, সরকারের কাছে ভূমির রেকর্ড রয়েছে। সেই রেকর্ড অনুযায়ী সরকারকেই নির্ধারণ করে দিতে হবে কোন কোন ভূমি পাহাড়ি। এছাড়া এই শহরের মাস্টার প্ল্যান হয়েছে। সেই মাস্টারপ্ল্যানেও কোন কোন ভূমি পাহাড়ি রয়েছে তা চিহ্নিত রয়েছে। এই পাহাড় চিহ্নিত করতে আদালত নির্দেশনা দিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, পরিবেশ কর্মী, উন্নয়ন কর্মী, সংবাদ কর্মীসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সের অধ্যাপক খালেদ মিসবাহউজ্জামান। তিনি প্রবন্ধে উল্লেখ করেন, চট্টগ্রামে ৪০ বছর আগে ২০০ পাহাড় ছিল। কিন্তু এগুলোর মধ্যে প্রায় ১২০টি পাহাড় বিলীন হয়ে গেছে। অল্প কিছু পাহাড় যা এখনও টিকে রয়েছে সেগুলোও বিলীনের পথে।
সভায় পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগরের সহকারী পরিচালক আবুল হাসনাত বলেন, পাহাড় রক্ষায় আমরা অভিযান পরিচালনা করি এবং জরিমানার পাশাপাশি মামলা দায়েরও করি। গত বছর সর্বোচ্চ ২১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু অভিযান মামলায়ও বন্ধ হচ্ছে না পাহাড় কাটা।
এদিকে আলোচনা সভা শেষে পাহাড় রক্ষায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর কাছে স্মারকলিপি দেন বেলার প্রধান নির্বাহি সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ও পরিকল্পিত চট্টগ্রাম ফোরামের সভাপতি প্রফেসর মোহাম্মদ সিকান্দার খান।
