খাঁন মাহমুদ আইউব :
নিজের গর্ভধারিনী মা’য়ের বিরুদ্ধে ৭মাস বয়সী কন্যা সন্তানকে বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ইউনিয়ন পরিষদ শালিসে শিশু আয়েশা মারা গেছে বলে দাবী করেছে মা মরিয়ম। তবে ৭মাস গত হলেও মৃত্যু সংক্রান্ত কোন প্রমান হাজির করতে পারেননি তিনি।
ঘটনাটি ঘটেছে টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের ডেইল পাড়া এলাকায়।
শিশু আয়েশার পিতা স্বাস্থ্য সহকারী হাফেজ আহমদ জানান, একই এলাকার গফুরের ছেলে ইয়াবা গডফাদার শফিকের পরকিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গত বছর ঘর ছেড়ে পালিয়ে যান তিন সন্তানের জননী মরিয়ম।
দুই সন্তানকে ফেলে পালিয়ে যাওয়ার সময় সে সাত মাসের গর্ভবতী ছিলেন। টানা দুই মাস আত্মগোপনে থাকার পর প্রসব বেদনা উঠলে গত বছর ৬এপ্রিল স্বামী হাফেজ কে ফোনে কক্সবাজার সেন্ট্রাল হাসপাতালে আসতে বলা হয়। পরের দিন ৭ এপ্রিল একটি কন্যা সন্তান জন্ম দেন মরিয়ম। চিকিৎসা শেষে শাশুরালয়ে আনার পর ২০দিনের মাথায় আবার নবজাতক কে নিয়ে পিত্রালয়ে পালিয়ে যান। শাশুরালয় থেকে স্ত্রী মরিয়ম কে ফিরাতে গেলে শালক খোবায়েব সহ সন্ত্রাসীদের হাতে আহত হন হাফেজ আহমদ।
এরপর প্রেমিক শফিকের প্রেমের টানে বিদেশ পাড়ি জমানোর আশায় মরিয়ম তার ভাগ্নি জামাই দিদারুল আলম মিলে কক্সবাজার’র মহেষখালী উপজেলার এক ব্যবসায়ীর কাছে আয়েশাকে বিক্রি করে করে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন হাফেজ আহমদ ।
ইয়াবা সহ আটক থাকায় দিদারের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এদিকে মরিয়ম সমস্ত অভিযোগ মিথ্যে বলে অস্বীকার করেছেন। শিশু আয়েশা চট্টগ্রাম পতেঙ্গা ১৪ নং বীচ এলাকায় অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয়েছে বলে জানান।
তবে মরিয়মের ভাই খোবায়েব মৃত্যুর বিষয়টি শুনেছেন,কিন্তু চোখে দেখেনি বলে জানিয়েছেন।
বিষয়টি সত্যতা যাচাইয়ে সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহজাহান মিয়ার সাথে আলাপ কালে তিনি জানান, ইউনিয়ন পরিষদ বরাবর স্বামী হাফেজ আহমদকে তালাকনামা পাঠিয়েছেন মরিয়ম। কিন্তু তিনি তা গ্রহন করেন নাই। চলতি বছর ৭ জানুয়ারী শালিসে শিশুটি পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছিলো বলে মরিয়মের পরিবার দাবী করেছেন। ৭মাস গত হলেও মরিয়ম শশুটির মৃত্যুর স্বপক্ষে কোন প্রমান দাঁড় করাতে পারে নাই। শিশুটি মৃত্যুর কারন হিসেবে দু’রকম বক্তব্য আসায় অনেকটা সন্দেহের কথা জানিয়েছেন তিনি।
অপরদিকে মরিয়মের পরকিয়া প্রেমিক ইয়াবা কারবারী শফিক অাত্মগোপনে থেকে বিভিন্ন হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন বলে দাবী করেন হাফেজ আহমদ।
তাই বিষয়টি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে প্রশাসন ও মানবাধিকার সংঘটনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।