হুমায়ূন রশিদ : টেকনাফের নয়াপাড়া রেজিষ্টার্ড শরণার্থী ক্যাম্পে অগ্নিকান্ডে হোস্ট কমিউনিটির দু’টি ঘর,কমিউনিটি সেন্টারসহ প্রায় সাড়ে ৫শ পরিবারের সমন্বয়ে একটি ব্লক সম্পূর্ণ পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসসহ উপস্থিত রোহিঙ্গাদের সহায়তায় সকাল নাগাদ আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। এই ঘটনায় কারো মৃত্যুর ঘটনা না ঘটলেও ১৫/২০জন নারী-পুরুষ আহত হয়েছে। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
জানা যায়, ১৪ জানুয়ারী (বৃহস্পতিবার) রাতের প্রথম প্রহর ১টা ২৯মিনিটে টেকনাফ নয়াপাড়া রেজিষ্টার্ড শরণার্থী ক্যাম্পের ই-ব্লকে জনৈক বুইগ্গানীর ঘর থেকে আকস্মিক অগ্নিকান্ডের সুত্রপাত হয়। প্রত্যেক বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার থাকার কারণে তা দ্রæত ছড়িয়ে পড়ে এবং ঘন্টার মধ্যে পুরো ব্লকে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে টেকনাফ ফায়ার সার্ভিস ইউনিটসহ রোহিঙ্গারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়। দীর্ঘ চেষ্টার পর ভোরের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এই অগ্নিকান্ডে নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই-ব্লকের ৪৩২টি রোহিঙ্গা বসতির রোম, ১টি ইউএনএইচসিআরের কমিউনিটি সেন্টার এবং পার্শ্ববর্তী ২টি স্থানীয় জনবসতির ঘর, এবং পার্শ্ববর্তী আরো ভাসমান শতাধিক ঝুপড়ি ঘরসহ সাড়ে ৫শ ঘর আগুনে পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। তাৎক্ষনিক আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়েই ১৫/২০জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ আহত হয়েছে। তাদের হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এই অগ্নিকান্ডে আগুনের উৎস সম্পর্কে কেউ নিশ্চিত হতে পারেনি তবে অনেকে ধারণা করছেন রোহিঙ্গাদের ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডার থেকে এই অগ্নিকান্ডের সুত্রপাত হতে পারে। আবার অনেকে মনে করছেন হয়তো কেউ ধ্বংসাতœক মনোভাব নিয়ে অগ্নিসংযোগ করছেন কিনা তা নিয়েও আশংকা প্রকাশ করছেন।
এই ব্যাপারে নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পের ক্যাম্প ইনচার্জ আব্দুল হান্নান সরকার জানান,ভোররাতে হঠাৎ অগ্নিকান্ডে উপরোক্ত ক্ষয়ক্ষতির সত্যতা নিশ্চিত করেন এবং অগ্নিকান্ডের উৎস সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এই অগ্নিকান্ডের প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে বলে তিনি অবহিত করেন।
এদিকে সকাল ১০টারদিকে কক্সবাজার ত্রাণ শরণার্থী ও পূর্ণবাসন বিষয়ক কমিশনার শাহ রেজওয়ান হায়াত অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে ক্ষয়ক্ষতি সরেজমিন পরিদর্শন করেন। তিনি সাড়ে ৫শ ঘর-বাড়ি ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেন। ###