টেকনাফের নয়াপাড়া রেজিষ্টার্ড ক্যাম্পে ক্যাম্প ও পাহাড়ি আস্তানায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্বশস্ত্র দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে সালমান শাহ গ্রুপের গুলিতে জকির গ্রুপের এক সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে মারা গেছে। পোস্টমর্টেম শেষে মৃতদেহ বাড়িতে এনে রাতেই দাফন করা হয়েছে।
জানা যায়,গত ৭আগষ্ঠ বিকালের দিকে টেকনাফের নয়াপাড়া পাড়া রেজিষ্টার্ড ক্যাম্পের ডি-ব্লক সংলগ্ন পাহাড়ের পাদদেশে মনিরুজ্জামান প্রজেক্ট এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সালমান শাহ গ্রুপ এবং জকির গ্রুপের সদস্যদের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়। এই ঘটনার খবর পেয়ে ক্যাম্পে দায়িত্বরত ১৬ এপিবিএন সদস্যরা ঘটনাস্থলে গেলে স্বশস্ত্র গ্রুপের সদস্যরা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল তল্লাশী চালিয়ে এপিবিএন সদস্যরা গুলিবিদ্ধ অবস্থায় জকির গ্রুপের সক্রিয় সদস্য এবং ক্যাম্পের সি-ব্লকের বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাকের পুত্র মোহাম্মদ ইব্রাহিমকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান হতে আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইব্রাহিমকে মৃত ঘোষণা করে। এরপর মৃতদেহ আইনী প্রক্রিয়া শেষে মৃতদেহ পোস্টমর্টেমের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়।
১৬এপিবিএনের অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মোহাম্মদ হাসান বারী নুর সংবাদ মাধ্যমকে জানান,ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় গোলাগুলির খবর পেয়ে এপিবিএন সদস্যরা ঘটনাস্থলে তল্লাশী চালিয়ে ইব্রাহিমকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। ক্যাম্পে শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশী টহল জোরদার রয়েছে।
এদিকে ৮ আগষ্ট সন্ধ্যারদিকে নিহত ইব্রাহিমের মৃতদেহ বাড়িতে আনা হয়। রাত ৯টায় মোছনী কবরস্থানে জানাজা শেষে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত ইব্রাহিমকে দাফন করা হয়েছে। তার সংসারে ২জন ছেলে সন্তান রয়েছে। ###