বিশেষ প্রতিবেদক : নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পে সংঘবদ্ধ রোহিঙ্গা দূবৃর্ত্ত চক্রের হাতে অপহৃত সিএনজি চালককে উদ্ধার করেছে।
সুত্র জানায়,গত ২৯মে বিকাল সাড়ে ৪টায় নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পে দায়িত্বরত এপিবিএন পুলিশ সদস্যরা ক্যাম্পের পাশর্^বর্তী শিবা বাঁশতলা নামক স্থানে অভিযান চালিয়ে হোয়াইক্যং কাঞ্জর পাড়ার জাফর আলমের পুত্র কামরুল হাসান (২২) কে উদ্ধার করে। এ বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ-এজাহারের প্রেক্ষিতে টেকনাফ মডেল থানায় মামলা নং-৮৮/৪০৫, তারিখ-২১/০৫/২০২১ইং এর মাধ্যমে থানায় সোর্পদ করেন। এরপর থানা হয়ে বাড়ি ফিরেন। পরদিন উদ্ধার হওয়া ভিকটিম আদালতে জবানবন্দি প্রদান করেন।
কক্সবাজার ১৬ ব্যাটালিয়ন এপিবিএন পুলিশের অধিনায়ক এসপি মোঃ তারিকুল ইসলাম তারিক, অপহরনের ১০দিনের মাথায় উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি আরো বলেন, এই ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের আটকের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২০মে দুপুর দেড়টারদিকে টেকনাফ সড়কের হ্নীলা মরহুম আবু বক্কর মেম্বারের রাস্তার মাথায় ভাড়া যাওয়ার কথা বলে হোয়াইক্যং কাঞ্জর পাড়ার জাফর আলমের পুত্র ও সিএনজি চালক কামরুল হাসান (২৫) কে নিয়ে যায়। এসময় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ওৎপেঁতে থাকা নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পের আই ব্লকের ছৈয়দ হোছনের পুত্র ও ডাকাত পুতিয়া গ্রæপের লিডার পুতিয়া, এইচ বøকের আমির হোসাইনের পুত্র হামিদ হোসাইন, করিম উল্লাহর পুত্র হামিদ হোছন প্রকাশ শিয়াইল্যা, মোঃ হাশেমের পুত্র মোঃ ইলিয়াছ, মোঃ ইয়াছিনের পুত্র মিছবাহ, কলিম উল্লাহর পুত্র এবাদুল্লাহ, বশির আহমদের পুত্র নেছার আহমদ প্রকাশ ইয়াছিনসহ আরো ৬/৭জনের একটি গ্রæপ সিএনজি থেকে নামিয়ে টেনে হিঁছড়ে পাহাড়ের দিকে নিয়ে যায় এবং মুঠোফোনে ১০লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। এই ঘটনায় থানায় মামলার প্রেক্ষিতে ১০দিনের মাথায় এপিবিএন পুলিশ অপহৃত কামরুল হাসানকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
এলাকার কিছু মহলের দাবী,উক্ত ইউনিয়নের চিহ্নিত একজন মাদক কারবারীর মাদকের চালান বহন করতে গিয়েই আইন-শৃংখলা বাহিনীর হাতে জব্দ হয়। তখন উক্ত মাদক কারবারী এই মাদকের চালান এই সিএনজি চালকের রহস্যজনক কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে সন্দেহ করে। তাই ক্ষতিগ্রস্থ মাদকের চালানের ক্ষতি-পূরণ নিতে কৌশলে রোহিঙ্গা দূবৃর্ত্তদের মাধ্যমে অপহরণের নাটক সাজায় বলে গুঞ্জন উঠেছে। ###